শ্বশুরের ধ’র্ষণে অন্তঃসত্ত্বা, যেভাবে ফেঁসে গেলেন সেই প্রবাসীর স্ত্রী !!
চাচা শ্বশুরের বিরুদ্ধে ধ’র্ষণ ও ধ’র্ষণের শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার মামলা করে উল্টো গ্রেফতার হয়ে কারাগারে যেতে হয়েছে এক গৃহবধূকে। ফেনীর সোনাগাজী থানায় ২২ নভেম্বর মামলাটি করেছিলেন এক প্রবাসীর স্ত্রী রুনা আক্তার। আদালতের শুনানির আগেই তিনি স্বীকার করেন মামলাটি মিথ্যা। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) তাকে গ্রেফতারপূর্বক জেল হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।
ফেনী জেলা জজ আদালতের পিপি হাফেজ আহাম্মদ গণমাধ্যমকে জানান, সোনাগাজীর মতিগঞ্জ ইউনিয়নের ছড়াইতকান্দি গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রী রুনা আক্তার। গত ২২ নভেম্বর সোনাগাজী থানায় একটি ধ’র্ষণ মামলা দায়ের করেন। এতে তার চাচা শ্বশুর শফিউল্যাহকে একমাত্র আসামি করা হয়। মামলায় বলা হয়, শফি তাকে বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দিতেন এবং এক পর্যায়ে তাকে ধ’র্ষণ করেন। এতে তিনি ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন। মামলা গ্রহণের পর পুলিশ শফিকে গ্রেপ্তার করে।
পিপি জানান, মঙ্গলবার ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলার শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। আসামি শফিউল্যাহর পক্ষে জামিন আবেদন করেন আইনজীবী। মামলার বাদি রুনা আক্তার আদালতে বলেন, ‘আমি মামলা করতে চাইনি। আমার শাশুড়ি মিথ্যা মামলা করতে বাধ্য করেছেন।’ রুনা আক্তারের বক্তব্য শোনার পর ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ রুনা আক্তারকে মিথ্যা মামলা দায়ের করার অভিযোগে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অভিযুক্ত চাচা শ্বশুর শফির জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। জামিন পাওয়ার পর শফিউল্যাহ শফি বলেন, ‘জমি নিয়ে বিরোধ থাকায় এই মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন।’