শ্বশুর-শাশুড়িকে সেবা করলে মিলবে তাঁতের শাড়ি, পোড়াবাড়ির চমচম ও ক্রেস্ট !!

বৃদ্ধ শ্বশুর-শাশুড়িকে ছেলের বউ দেখতে পারেন না। সামান্য বিষয় নিয়ে শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে বিচ্ছেদ সৃষ্টি করেন।এতে অনেক ক্ষেত্রে বৃদ্ধ শ্বশুর-শাশুড়ির জায়গা হয় বৃদ্ধাশ্রমে। এজন্য এক ব্যতিক্রম উদ্যোগ নিয়েছেন টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন। বৃদ্ধ শ্বশুর-শাশুড়িকে খুশি করাতে পারলে সেই পুত্রবধূর হাতে পুরস্কার তুলে দিচ্ছেন ওসি মীর মোশারফ হোসেন।তিনি নিজে বাড়ি বাড়ি গিয়ে উপহার পৌঁছে দিচ্ছেন পুত্রবধূদের হাতে। এমন ব্যতিক্রম উদ্যোগের জন্য অসংখ্য মানুষ মোশারফ হোসেনকে মোবাইল ফোনে উৎসাহ এবং অভিনন্দন জানাচ্ছেন।

টাঙ্গাইল সদর থানা গেটের সামনে সম্প্রতি অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন দুটি ফেস্টুন লাগিয়েছেন। তাতে লেখা ‘বৃদ্ধাশ্রম নয়, পরিবারই হোক বাবা-মায়ের নিরাপদ আবাস। পুত্রবধূ যদি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে তার শ্বশুর-শাশুড়ির খেদমত করে আল্লাহ তাকে আখিরাতে পুরস্কার প্রদান করবেন। শ্বশুর-শাশুড়িকে যে সেবা করবে এবং একসঙ্গে বসবাস করবে সেই ভাগ্যবতীকে পুরস্কৃত করা হবে।’

গত দুই দিনে সদর উপজেলার সাবালিয়া এলাকার তামান্না জাহান মিতু, পারভিন খান, থানাপাড়া এলাকার মির্জা সায়মা, আদি টাঙ্গাইলের সৈয়দ সুমাইয়া পারভিন, আকুরটাকুরপাড়া এলাকার মাহমুদা রহমান ও উম্মে সাদিকা, কলেজ পাড়ার শিউলি আক্তারসহ আট জনকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। পুরস্কার হিসেবে পুত্রবধূরা পাচ্ছেন টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি, পোড়াবাড়ির চমচম ও ক্রেস্ট। একইসঙ্গে পরিবারকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছাও জানানো হচ্ছে।

ওসি মীর মোশারফ হোসেন বলেন, ‘আমি লক্ষ্য করেছি বৃদ্ধ বয়সে সন্তানের অবহেলায় বাবা ও মা অযত্মে জীবন যাপন করেন। অনেকেই ঠিকমত খাবারও পান না। আর্থিক অবস্থা ভালো সন্তানেরা বাবা-মাকে ছেড়ে স্ত্রী সন্তান নিয়ে আলাদা বসবাস করে। অনেক সন্তানরাই ভুলে যায় এই বাবা-মা দিনরাত পরিশ্রম করে এই সন্তানের মুখে আহার তুলে দেন এবং উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করেন। তারা এও ভুলে যায় তাদেরও একদিন বৃদ্ধ হতে হবে। অনেক সন্তান কাজের প্রয়োজনে বাইরে ব্যস্ত থাকে। তাদের বাবা-মা পুত্রবধূর কাছে বেশি সময় কাটান। আমার উদ্দেশ্য ওই পুত্রবধূদের উৎসাহিত করা। যাদের দেখে অন্য পুত্রবধূরাও তার শ্বশুর-শাশুড়িকে সম্মান করবেন।’

সূত্র- আরটিভি অনলাইন

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *