শ্রীলঙ্কায় করোনায় মৃ’ত দুই মুসলিমের ম’রদেহ পু’ড়িয়ে সৎকার, নিন্দার ঝড় !!

শ্রীলঙ্কায়ও ছড়িয়েছে করোনাভা’ইরাস। দেশটিতে করোনায় আ’ক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন চারজন। আর সেই চারজনের মধ্যে দু’জন মুসলিম ধর্মাবলম্বী। বলা হচ্ছে, মুসলিম রীতি না মেন তাদের মরদেহ পুড়িয়ে সৎকার করা হয়েছে। ইসলামিক দাফনের রীতি লঙ্ঘন করে জোর করে শ্রীলঙ্কার সরকার তাদের দেহ পুড়িয়ে দেয়। মুসলিম রীতি না মেন তাদের মরদেহ ধৌত করতেও দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করছে তাদের পরিবার।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ৭৩ বছর বয়সী কলম্বোর বাসিন্দা বিসরুল হাফি মোহাম্মদ জুনুস নামের এক ব্যক্তি করোনায় আ’ক্রান্ত হয়ে মারা যান। সম্প্রতি তার দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তার কিডনির সমস্যাও ছিল। এক সপ্তাহ আগে তার করোনা ধরা পড়ে। পরে ১ এপ্রিল তিনি মারা যান। এর একদিন পরই তার মরদেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

বিসরুল হাফির ছেলে ফয়েজ জুনুস জানান, করোনা সংক্রমণের ভয়ে তারা তার বাবার জানাযার নামাজ আদায় করতে পারেননি। তিনি বলেন, আমার বাবার মরদেহ পুলিশ পাহারায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং শ্মশানে নিয়ে গিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। যদি দাফনের বিকল্প থাকে তবে সরকারের ব্যবস্থা করা উচিত। কিন্তু পুড়িয়ে দেওয়াই একমাত্র বিকল্প নয়, আমরা ইসলামিক পদ্ধতি অনুসারে আমাদের প্রিয়জনকে কবর দিতে চাই।

শ্রীলঙ্কার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার কোভিড-১৯ নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, করোনায় আ’ক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া মানুষের দেহগুলো পুড়িয়ে দেওয়া হবে। সেখানে আরো বলা হয়, মরদেহগুলো ধৌতও করা হবে না। একটি সিলযুক্ত ব্যাগ এবং একটি কফিনে রেখে পুড়িয়ে দেওয়া হবে।

করোনায় আ’ক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া দুই জন মুসলিম ধর্মাবলম্বীর মরদেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে মুসলিম কমিউনিটিতে শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়। শ্রীলঙ্কার মুসলিম কাউন্সিলের সহ-সভাপতি হিলি আহমেদ বলেন, মুসলিম সম্প্রদায় এটিকে চরমপন্থী বৌদ্ধ শক্তির বর্ণবাদী এজেন্ডা হিসেবে দেখছে। এর জন্য সরকারকে খেসারত দিতে হতে পারে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *