সকালে ইলিশের কেজি ১২০০ টাকা, একই ইলিশ সন্ধ্যায় ৩৫০ টাকা
সকালে ৬০০-৭০০ গ্রাম ওজনের এক কেজি ইলিশ ৯০০-১২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। পরে একই ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩৫০ টাকায়। কেউ কেউ মাইকিং করে ইলিশ বিক্রি করছেন। দাম নাগালের মধ্যে থাকায় ক্রেতারা অভিভূত।
রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বরগুনা পৌরসভার মাছ বাজার পরিদর্শন করা হয়। তবে অধিকাংশ ক্রেতার দাবি, অসাধু ব্যবসায়ীরা পচা মাছ বিক্রি করছে।
মিজানুর রহমান নামে একজন ক্রেতা জানান, বাজারে ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ কিনতে কমপক্ষে এক হাজার টাকা বা ১২০০ টাকা লাগে। আমি ৩৫০ টাকায় ৬০০ গ্রাম থেকে এক কেজি ওজনের ইলিশ পাচ্ছি। এটা ভালো. কিন্তু বাড়ি যাওয়ার পর ইলিশের ভিতরে কি আছে তা বুঝতে পারব।
ইলিশ কিনতে আসা সাইদুল ইসলাম বলেন, আমি দেখি প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়। মনে হচ্ছে মাছটি অনেক দিনের পুরনো। বরফ দেওয়া হয়েছিল, তাই কম দামে বিক্রি হচ্ছে। আমি মাছ পছন্দ করিনি, পচা লাগছে, আমি এটা না কিনে চলে যাচ্ছি। ভালো মানের মাছের দাম এখনো বেশি।
১২০০ টাকায় ইলিশ বিক্রি করার কারণ জানতে চাইলে মাছ ব্যবসায়ী আজহার গাজী বলেন, আমরা সকালে চড়া দামে ইলিশ কিনেছিলাম। তাই সকালে বেশি দামে বিক্রি করলাম। সন্ধ্যার পর দাম একটু কম ছিল তাই কুয়াকাটা থেকে আরো ইলিশ আনতে পেরেছি। এজন্য আমরা কম দামে বিক্রি করছি।
আরেক মাছ ব্যবসায়ী সোবাহান মীর বলেন, আমরা কম লাভ করি। আমি যদি বিকেলে আনা মাছ বরফে রাখতে পারতাম, তাহলে সকালে বেশি দামে বিক্রি করতে পারতাম। কিন্তু আমরা ক্রেতাদের তাজা মাছ খাওয়াতে চাই। তাই দাম একটু কম হলেও ফ্রেশ থাকার জন্য বিক্রি করছি।
বরগুনা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সেলিম বলেন, আমরা কম দামে ইলিশ বিক্রির কথা শুনেছি এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। আমি পচা বা নষ্ট মাছ বিক্রিতে জড়িত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।