সাত বছরের শিশুকে ধ;র্ষণের পর হ’ত্যার রোমহর্ষক বর্ণনা !!

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় ধর্ষণের পর শিশু সাদিয়া খাতুনকে (৭) ছুরি দিয়ে জবাই করে হ’ত্যা করে তারই আপন চাচাতো ভাই (১৫)। পরে তাকে পাশের আলুক্ষেতে ফেলে পালিয়ে যায়।শনিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আসমা মাহমুদের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে এসব কথা জানায় অভিযুক্ত কিশোর।

শিবগঞ্জ উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের ভরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ওই ছাত্র শিশু সাদিয়ার আপন চাচাতো ভাই। নিহত সাদিয়া খাতুন উপজেলার তালিবপুর পুর্বপাড়া গ্রামের দিনমজুর শাহিনুর রহমানের মেয়ে। সে কৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সনাতন সরকার বলেন, বুধবার রাতে তালিবপুর গ্রামে এক পীরের আস্তানায় জিকিরের আয়োজন করা হয়। সাদিয়া অন্যান্যদের সঙ্গে সেখানে যায়। সন্ধ্যায় ফেরার সময় সাদিয়াকে বাড়ি পৌঁছানোর কথা বলে পাশের একটি কলাক্ষেতে নিয়ে যায় চাচাতো ভাই। সেখানে সাদিয়াকে ধর্ষণ করা হয়। এতে সাদিয়া রক্তাক্ত হয়ে জ্ঞান হারায়। তখন অবস্থা বেগতিক দেখে সাদিয়াকে ফেলে রেখে বাড়ি গিয়ে একটি ছোরা নিয়ে আসে ওই কিশোর। পরে সেই ছোরা দিয়ে সাদিয়াকে জবাই করা হয়। তার মৃত্যু নিশ্চিত করে পাশের আলুক্ষেতে ফেলে রাখা হয়।

গত বুধবার নিখোঁজ হয় সাদিয়া। সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় এলাকায় মাইকিং করা হয়। রাতভর বিভিন্ন স্থানে সন্ধান করেও তাকে পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার সকালে আলুক্ষেতে সাদিয়ার গলাকাটা মরদেহ পাওয়া যায়।

পরে মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। এ ঘটনায় সাদিয়ার বাবা শাহীনুর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে থানায় মামলা করেন। ঘটনা তদন্ত করে পুলিশের সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শুক্রবার চাচাতো ভাইকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পর সে পুলিশের কাছে সাদিয়াকে ধষর্ণের পর হ’ত্যার কথা স্বীকার করে।

শিবগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি মিজানুর রহমান বলেন, প্রথম থেকে পুলিশের সন্দেহের তালিকায় ছিল ওই কিশোর। পরে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে সাদিয়াকে হ’ত্যার কথা স্বীকার করে এবং হ’ত্যার বর্ণনা দেয়। সে প্রথমে তাকে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের পর অবস্থা খারাপ হলে বাড়ি থেকে ছুরি নিয়ে গলা কেটে হ’ত্যা করে। পরে মরদেহ আলুক্ষেতে ফেলে রেখে যায়। শনিবার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবাবন্দি দেয় ওই কিশোর।

সূত্রঃ জাগো নিউজ

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *