সেন্টমার্টিনকে বাঁচাতে ১১ তরুণের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ !!

সেন্টমার্টিন বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। দিন দিন পর্যটকের সমাগম বাড়ছে সেখানে। বেড়াতে আসা পর্যটকদের ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে নীল জলরাশির সেন্টমার্টিন দ্বীপের পরিবেশ। ময়লা-আবর্জনার কারণে এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ক্রমে হুমকির সম্মুখীন। ‘প্লাস্টিককে না বলুন’ স্লোগানকে ধারণ করে সেন্টমার্টিন থেকে ৫০০ কেজি বর্জ্য সংগ্রহ করে চীনে অধ্যয়নরত একদল তরুণ পর্যটক।চীনের চন্দ্র নববর্ষের ছুটি কাটাতে বাংলাদেশে যাওয়া নানচাং হাংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সম্প্রতি সেন্টমার্টিন দ্বীপে যান ভ্রমণের উদ্দেশে। তিনদিন দ্বীপের সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি ঘুরে ঘুরে বর্জ্য সংগ্রহ করেন তারা।

সংগ্রহকারী দলে শিক্ষার্থী ছিল এগার জন। তাদের মধ্যে পাঁচজন্য চীনের নানচাং হাংকং বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। দলের বাকী সদস্যর বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে। সেন্টমার্টিন পরিষ্কার ও সচেতনতা বৃদ্ধির অভিযানের জন্য সাজিদ, আশরাফুল, রাজা, সোহান, নাজমুল আকরাম, রাজ, ইফতি, শামীম, অন্তু এবং শিমুল হাতে পলিথিনের ব্যাগ নিয়ে সৈকতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা কোমল পানীয় বোতল, চিপস, বিস্কুট, পলিথিনের ব্যাগ ও প্লাস্টিক জাতীয় বর্জ্য কুড়িয়ে নেয়।

ভ্রমণপ্রেমী দলের সদস্য নানচাং হাংকং বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমরা চাই অনন্য এই দ্বীপকে বাঁচানোর জন্য সবাই আমাদের প্রচেষ্টার সঙ্গে যুক্ত হবে। অন্যরাও যদি দ্বীপটির যত্ন নিতে শুরু করে, দ্বীপটিকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করে নিশ্চয়ই পরিবর্তন আসবে। আমরা সবাই মিলে এই দ্বীপের সৌন্দর্য ধরে রাখতে পারব। প্রচুর পরিমাণে তেল, প্লাস্টিক বর্জ্য এবং অপচনশীল দ্রব্য সমুদ্রের পানিতে ফেলা হয় বলে জানান তিনি।

গ্রুপের আরেক সদস্য শাফিন রহমান সোহান জানান, যদি এই পরিবেশকে সুন্দর রাখতে হয়, প্রবালদ্বীপ যদি সুন্দর রাখতে হয়। এখানে যেহেতু দিনদিন পর্যটক বেড়ে যাচ্ছে, বিভিন্ন দেশের লোকেরা এখানে দেখতে এবং ঘুরতে আসছে, সেজন্য এই দ্বীপকে আমাদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা দরকার। তা করতে হলে অবশ্যই কর্তৃপক্ষের উচিত দ্বীপে নজর রাখা।

তিনি বলেন, দ্বীপ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য এখানে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবকরা সঠিকভাবে কাজ করছে কীনা তা তদারকি করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত অনুরোধ করেছেন।

ভবিষ্যতেও ওই ১১ জন একইভাবে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালিয়ে যাবে বলে জানান তারা। ৫০০ কেজি বর্জ্যের মধ্যে সিগারেটের ফিল্টার কোমল পানীয় বোতল, চিপস, বিস্কুট, পলিথিনের ব্যাগ ও প্লাস্টিক জাতীয় বর্জ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *