সৌদি আরবে ভারী তুষারপাত, মরুভুমি ঢেকে গেছে তুষার-চাদরে !!

রাতারাতি বালির মরুভূমি বদলে গেল বরফে। গত কয়েকদিনের ভারী তুষারপাতে সৌদি আরবের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলগুলি তুষার চাদরে ঢাকা পড়েছে।

বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে চলে যাওয়ার কারণে সৌদি আবহাওয়া সংস্থা স্থানীয় বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি উষ্ণ অবস্থায় রাখা জন্য এবং বিচ্ছিন্ন জায়গায় ভ্রমণ এড়াতে অনুরোধ জানিয়েছে।

সৌদি আবহাওয়া ও পরিবেশ সুরক্ষা অধিদপ্তর থেকে বৈরী আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়ে জানিয়েছে, বেশ কিছু অঞ্চল ছাড়াও তাবুক, আল-মদিনা, আল-জাওফ এবং উত্তর সীমান্তে শিলাবৃষ্টি ও কনকনে ঠাণ্ডা ঝড়ো হাওয়া বইবে।

কর্তৃপক্ষের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লোহিত সাগরের তলদেশীয় বায়ু চলাচল উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল থেকে ২০-৪৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিবেগ রয়েছে, আরব উপসাগরে তলদেশীয় বায়ু চলাচল দক্ষিণ-পূর্ব থেকে দক্ষিণে ১৫-৪০ গতিবেগের মধ্যে রয়েছে।

তবে তুষারপাত কিছু এলাকায় হলেও পুরো সৌদি আরব এখন প্রচণ্ড শীতে কাঁপছে।

* নভেম্বর-ডিসেম্বর এখানকার শীতের মৌসুম। বালির দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রার তারতম্য হয়েই থাকে। কিন্তু শূন্যের এতটা নীচে তাপমাত্রা নামা, এটা বিরলতম ঘটনা।* মাঝে মাঝে হাল্কা বৃষ্টি, মেঘলা আবহাওয়া ছিল বেশ কয়েকদিন।

* অত্যাধিক তুষারপাতে ঢেকে গেছে রাস্তাঘাট। রাস্তায় প্রবল যানজট। কিন্তু তাতেও কুছ পরোয়া নেই। মানুষ গাড়ি থেকে নেমে রীতিমতো বরফ নিয়ে খেলতে শুরু করেছে।* বালি ঢাকা পড়েছে বরফের চাদরে। বিভিন্ন জায়গায় বরফের মানুষ তৈরি করে রাখা হয়েছে।

* স্নো-ম্যান বা বরফের মানুষ তৈরি করা নাকি ইসলাম বিরোধী, এই নিয়ে এর আগে বিতর্কও তৈরি হয়েছে সৌদি আরবে। কিন্তু এমন পরিবেশ হাতের কাছে পেয়ে কে শোনে কার কথা!* সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ২ হাজার ফুট উঁচুতে উত্তর আল জফের এই পাহাড়ি এলাকা ঢেকে গেছে বরফে।

* সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এখানে একটু আধটু তুষারপাত হয়। কিন্তু এই ভাবে এত বেশি তুষারপাত কখনো হয়নি।* এমনিতে এখানকার গড় তাপমাত্রা যথেষ্ট বেশি। তবে আবাহবিদদের মত, এই এলাকায় ঝড় হচ্ছে বেশ কয়েকদিন ধরে। এর সঙ্গে কিউমুলোনিম্বাস মেঘের জটলায় হঠাত্ অনেকখানি তাপমাত্রা কমে গেছে। তুষারপাত হওয়ার এটাই প্রধান কারণ বলে জানান তাঁরা।

* কাশিম বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহবিদ ও প্রফেসর আবদালাহ আল মুসানাদ জানান, এই মৌসুমে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে এখানে।* তাঁর মতে, বর্ষা চলে যাওয়ার ৪০ দিন পর এমন অস্বাভাবিক বৃষ্টি এর আগে ঘটেনি।

* গত বছর এপ্রিলে প্রকৃতির রোষে পড়তে হয়েছিল সৌদিকে। অত্যাধিক বৃষ্টিতে ভয়াবহ বন্যা হয়েছিল।* সে সময় বন্যায় ১৮ জন মারা যান। ক্ষয়ক্ষতি হয় প্রচুর।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *