হ’স্তমৈ’থুনে সুখ যেমন, অসুখ তেমন – জানলে চমকে যাবেন !!

হ’স্তমৈ’থুন মানুষের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। নারী-পুরুষ উভয়েই হ’স্তমৈ’থুন করে। আসুন দেখে নেওয়া যাক, হ’স্তমৈ’থুন সম্পর্কিত এমন ১৭টি বিষয়, যা হয়তো আপনি জানেন না। সন্ধান দিচ্ছেন ব্রিটিশ সে’ক্সোলজিস্ট জ্যাসন সেঞ্জ।

হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের গবেষণা অনুযায়ী, ৫০ বছর বয়সের পর নিয়মিত হ’স্তমৈ’থুন করলে প্রস্টেট ক্যান্সারের আশঙ্কা কমে। অল্প বয়সে হ’স্তমৈ’থুন করলে স্ব’প্নদোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ভুক্তভোগী মাত্রই জানে, স্ব’প্নদোষ একটি বিব্রতকর পরিস্থিতি।

সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত হ’স্তমৈ’থুন করলে অনিদ্রা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। হ’স্তমৈ’থুনের সময়ে পে’নিস শক্ত বা ধারালো বস্তুর সঙ্গে ঘষা উচিত নয়। এর ফলে রক্তপাত যেমন হতে পারে, তেমনই পে’নিসের পেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ধ্বজভঙ্গ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

ন্যাশনাল সার্ভে অফ সে’ক্সুয়াল হেলফ অ্যান্ড বিহেভিয়ার বলছে, ১৭ বছর বয়সে পা দেওয়ার আগেই ৮০ শতাংশ ছেলে হ’স্তমৈ’থুনের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে ফেলে। মেয়েদের ক্ষেত্রে এই হার ৫৮ শতাংশ। ১৮ বছর পেরিয়ে এই হার হয় পুরুষদের ক্ষেত্রে ৯২ শতাংশ ও মেয়েদের ক্ষেত্রে ৬২ শতাংশ।

ইংল্যান্ডে মহারানি ভিক্টোরিয়ার আমলে হ’স্তমৈ’থুনকে রোগ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। পরে অবশ্য প্রমাণিত হয়, এটি আসলে একটি জৈবিক প্রবৃত্তি, রোগ নয়।

বিভিন্ন সমীক্ষার দাবি, ৭০ শতাংশ পুরুষ আছে, যারা বিয়ের পরও নিয়মিত হ’স্তমৈ’থুন করে। কিনসি ইন্সটিটিউটের সমীক্ষা অনুযায়ী, ৩৮ শতাংশ মানুষ হ’স্তমৈ’থুনের আগে প’র্নোগ্রা’ফি দেখে। ২৮ মে আন্তর্জাতিক হ’স্তমৈ’থুন দিবস পালিত হয়। আগে ৭ মে পালিত হত। আর মে মাস হল আন্তর্জাতিক হ’স্তমৈ’থুন মাস!

হ’স্তমৈ’থুনের সময় ৫৩ শতাংশ মেয়ে সে’ক্স টয় ব্যবহার করে। প্ল্যানড পেরেন্টহুড জানাচ্ছে, মেয়েরা নিয়মিত হ’স্তমৈ’থুন করলে মাসিকের সময় যন্ত্রণার অনুভূতি তুলনামূলক কম হয়।

হ’স্তমৈ’থুনের সপক্ষে সওয়াল করায় ১৯৯৪ সালে আমেরিকার সার্জেন জেনারেল ডা. জয়সেলিন এলডার্সের চাকরি গিয়েছিল। কারণ, তিনি বলেছিলেন, আমেরিকার সব স্কুলে বাচ্চাদের হ’স্তমৈ’থুন করা শেখাতে হবে। ৪৬ শতাংশ মহিলা হ’স্তমৈ’থুন শুরুর তিন মিনিটে অর্গাজমে পৌঁছে যায়।

৯০ শতাংশ পুরুষ হ’স্তমৈ’থুনের সময় নিজের গার্লফ্রেন্ড বা বউয়ের কথা না ভেবে অন্য মেয়ের কথা চিন্তা করে। সেই মেয়ে রাস্তার কোনও অপরিচিত মেয়ে যেমন হতে পারে, তেমনই পাড়ার বউদি, বন্ধুর গার্লফ্রেন্ড হতে পারে।

মেয়েরা হ’স্তমৈ’থুনের সময় গাজর, কলা, ডিলডো ইত্যাদি ব্যবহার করতে পছন্দ করে। বেশি হ’স্তমৈ’থুন করলে ধ্বজভঙ্গ হয় না কিংবা শুক্রাণুর গুণমান হ্রাস পায় না। প্রতি বছর সারা পৃথিবীতে ৭০ লক্ষ ফ্লেশলাইট বিক্রি হয়। প্রসঙ্গত, ফ্লেশলাইট হল কৃত্রিম যোনি। সূত্রঃ এবেলা

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *