হুইলচেয়ার দিল না হাসপাতাল, ধ’র্ষিতা মেয়েকে কাঁধে নিয়ে ছুটলেন বাবা !!

ধ’র্ষকদের হাত থেকে বাঁচতে পালানোর সময় মারধরে পা ভেঙে যাওয়া মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন বাবা। সরকারি সেই হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারেন সেখানকার এক্স-রে মেশিন নষ্ট। পরে বাধ্য হয়ে ধর্ষণের শিকার মেয়েকে পিঠে নিয়ে অন্য হাসপাতালে ছুটলেন বাবা।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্ট্রেচার কিংবা হুইল চেয়ার না দেয়ায় মেয়েকে পিঠে নিয়ে অন্য হাসপাতালে ছুটে চলা এই বাবার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ হতেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের একটি সরকারি হাসপাতালে।

কলকাতার বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার বলছে, মঙ্গলবার ১৫ বছর বয়সী ধ’র্ষিতা মেয়েকে পিঠে চাপিয়ে বাবার হাসপাতালে ঢোকার ভিডিও তুলেছিলেন অন্য কোনও রোগীর আত্মীয়স্বজন। সেই ছবি পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সমালোচনায় সরব হয়েছে ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম।

১৫ বছরের কিশোরীকে এক প্রতিবেশীর ১৯ বছর বয়সী ছেলে একটি ঘরে টেনে নিয়ে যায়। পরে ঘর বন্ধ করে দিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে ধর্ষণ করা হয় তাকে। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে কিশোরী ঘরের দরজা খুলে পালানোর চেষ্টা করলে, প্রচণ্ড মারধর করে তার পা ভেঙে দেয়া হয়।

মারহেরা থানার স্টেশন হাউস অফিসার জিতেন্দ্র ভাদৌরিয়া বলেন, ‘কিশোরীর অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১৪ ডিসেম্বর এফআইআর দায়ের হয়েছে। অভিযুক্ত অঙ্কিত যাদবকে পরের দিন গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছে। কিশোরীকে পাঠানো হয়েছে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য।’

তবে এই গাফিলতির ঘটনা নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, এমনকি প্রশাসনিক স্তরেও কেউ দায়িত্ব নিতে রাজি হননি। জেলার চিফ মেডিক্যাল অফিসার ডা. অজয় অগ্রবাল বলেন, ‘হাসপাতালে কোনও স্ট্রেচার বা হুইলচেয়ার নেই, আমার জানা ছিল না। খবর পেয়ে আমি ওই হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা এক অফিসারকে স্ট্রেচার বা হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা করে দিতে বলেছিলাম।’

যিনি হাসপাতালের দায়িত্বে ছিলেন সেই ডিপিও (ডিস্ট্রিক্ট প্রোবেশন অফিসার) আবদুল কালাম অবশ্য অগ্রবালের বক্তব্য মানতে রাজি হননি। তিনি বলেন, ‘হাসপাতালটির দায়িত্ব জেলার পরিবার কল্যাণ অফিসার রেশমি যাদবের। এ ব্যাপারে যা বলার তিনিই বলতে পারবেন।’রেশমি যাদব বলেছেন, ‘তাকে এখনও সরকারিভাবে ওই হাসপাতালের দায়িত্ব দেয়া হয়নি।’

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *