১০ হাজার উট না মে’রে ইসলামী রীতিতে দান করে দিনঃ তুরস্ক !!

অতিরিক্ত পানি ও খাদ্য সাবাড় করার কারণে অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের ১০ হাজারেরও বেশি উটকে গু’লি করে মে’রে ফেলার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা শুরু হয়েছে। ওই হ’ত্যা’যজ্ঞের প্রথমদিনে বৃহস্পতিবার দেড় হাজার উটকে প্রশিক্ষিত স্নাইপার দিয়ে আকাশ থেকে (হেলিকপ্টার থেকে) গু’লি করে মা’রা হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়াকে এই ১০ হাজার উট মে’রে ফেলার পরিবর্তে ইসলামি রীতিতে জ’বা’ই করে তা দান করার আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপের দেশ তুরস্কের সরকারি মানবিক সহযোগিতা সংস্থা।

অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের আনানজু পিতজানৎজাতজারা ইয়ানকুনিৎজাতজারা ল্যান্ডস (এওয়াইপি) খুবই খরাপ্রবণ এলাকা। যে কারণে এ অঞ্চলে পানির খুব সংকট। এখানকার বন্য উটগুলো খুব বেশি করে পানি খেয়ে নিচ্ছে। ফলে স্থানীয়দের জন্য থাকছে না পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি।

সে কারণে বিশ্ব উষ্ণায়নের অজুহাতে এ অঞ্চলের অন্তত ১০ হাজার উট হ’ত্যা’র সিদ্ধান্ত নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। হেলিকপ্টার থেকে বন্য উটগুলোকে গু’লি করে মা’রা হবে বলে জানা যায়। অস্ট্রেলিয়াকে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহবান জানিয়েছে তুরস্ক।

ফিলিস্তিনভিত্তিক গণমাধ্যম গাজা আল-আনের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, তুরস্কের সরকারি মানবিক সহযোগিতা সংস্থা (আইএইচএইচ)এর সহকারি পরিচালক সিরকান নার্গিস ১০ হাজার উট গু’লি করে না মে’রে সে গুলোকে ইসলামি রীতি অনুযায়ী জ’বা’ই করে বিশ্বের দরিদ্র ও প্রয়োজনগ্রস্ত মানুষদের মাঝে বিতরণের আহবান জানিয়েছেন।

তুরস্কের আইএইচএইচ সংস্থাটি এ মর্মে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যে, অস্ট্রেলিয়া যেন তাদের এই সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসে। তারা এ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে বলেও জানায় সংস্থাটি।

উল্লেখ্য যে, অস্ট্রেলিয়ায় গত সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে দা’বা’ন’ল। সম্প্রতি এ দা’বা;ন’ল ভয়া’বহ আকার ধারণ করেছেন। দাবা’নলের আগু’নের তীব্রতা কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। আগু’নের উত্তাপে পশু-পাখীসহ নানান প্রজাতির প্রাণী ও সরিসৃপ মারা যাচ্ছে। এ পর্যন্ত বিভিন্ন প্রজাতির অন্তত ৫০ কোটি প্রাণী মারা গেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷

শুধু বন্য প্রাণীই নয়, দাবানল লোকালয়েও ছড়িয়ে পড়ছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ২শ’ ঘরবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।অস্ট্রেলিয়ার ১০ হাজার উট না মেরে তা জবাই করে প্রয়োজনগ্রস্ত মানুষকে দান করার কাজে সহযোগিতা করলে নিঃসন্দেহে দেশটি বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হবে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *