২ হাজার টাকা না দেয়ায় তালিকায় নাম উঠেনি মুক্তিযোদ্ধা মোসলেমের !!

মাত্র ২ হাজার টাকার জন্য মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম উঠেনি পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের মোসলেম আলীর।

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী একজন প্রত্যক্ষ মুক্তিযোদ্ধার ভাগ্য বিড়ম্বনায় জোটেনি বীর উপাধি। মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক আতাউল গণি ওসমানী স্বাক্ষরিত সনদ, সমরাস্ত্র জমার রশিদ থাকার পরও তার নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।বর্তমানে তিনি বার্ধক্যজনিত অসুস্থ অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছেন।

শুক্রবার একান্ত সাক্ষাতে মোসলেম আলী জানান, ৯ নম্বর সেক্টরের অধীনে কমান্ডার গাজী দেলোয়ার এবং কাজী আবদুল মোতালেব বাহিনীর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। দীর্ঘ নয় মাস ধরে রাইফেলসহ বিভিন্ন এলাকায় পাক-হানাদার বাহিনী ও রাজাকারদের প্রতিহত করার জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন।

মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক মুহম্মদ আতাউল গণি ওসমানী স্বাক্ষরিত প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সনদপত্র তার কাছে আছে। দুঃখের বিষয়, জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে এবং ওসমানী সনদ পেয়েও মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম ওঠেনি।

আক্ষেপ করে বলেন, এ উপজেলায় প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা হাতেগোনা কয়েকজন। বর্তমানে সুবিধাভোগীর তালিকায় আছেন ১২৯ জন। নানা কৌশলে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে ওই সব বিতর্কিতরা সুবিধা লুটছেন।

তিনি বলেন, ২০০৩ সালে মুক্তিযোদ্ধার বাছাই তালিকায় ১৩ নং সিরিয়ালে আমার নাম আছে। তখনকার সময় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার রাজ্জাক আমার কাছে ২ হাজার টাকা দাবি করেছিলেন, আমি কোনো টাকা দেইনি। টাকা না দেয়ায় আমার নামও তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

এরপরও বিভিন্ন সময়ে প্রণীত মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নিজের নামটি অন্তর্ভুক্তির আবেদন করেও সফল হতে পারিনি এবং সর্বশেষ অনলাইনেও আবেদন করেছি।

অসহায় মোসলেম আলী নিজের নাম মুক্তিযোদ্ধা তালিকা/গেজেটে অন্তর্ভুক্তির জন্য হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। বর্তমানে তিনি চরম অসচ্ছলতায় অসুস্থ জীবন কাটাচ্ছেন। টাকার অভাবে নিজের চিকিৎসা করাতে পারছেন না। এমতাবস্থায় তিনি তার মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতির জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সূত্রঃ যুগান্তর

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *