Jana Ojana

৩০ দেশে ছড়াতে পারে এই পঙ্গপাল – দেখা দিতে পারে খাদ্য সঙ্কট !!

পঙ্গপালের হানায় এরই মধ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। চারশ কোটি টাকার একটি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ইমরান খানের সরকার। সবশেষ ভারতের পাঞ্জাবেও ঢুকে পড়েছে পতঙ্গরা। যার ব্যাপ্তি ছিল তিন কিলোমিটার। শুধু ভারত নয় সব মিলিয়ে ৩০টি দেশে এই পঙ্গপাল ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে মনে করছে জাতিসংঘ। যার কারণে দেখা দিতে পারে ভয়াবহ খাদ্য সঙ্কট। ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, কেনিয়া, ইথিওপিয়া ও সোমালিয়া এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ। সেই সঙ্গে আফ্রিকার আরো ১৪টি দেশেও ছড়িয়েছে এই পতঙ্গরা। লোহিত সাগরের দুইপাড়েও সমান তালে বাড়ছে এদের আধিপত্য সুদান, মিশরের উপকূল থেকে শুরু করে দক্ষিণ পশ্চিম সৌদি আরবেও চলছে বংশবিস্তার। ওমানের পূর্ব উপকূল থেকে শুরু করে ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত অবধি এখন এই পতঙ্গদের বিস্তৃতি।

এরই মধ্যে পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলোতে কয়েক হাজার একর জমিতে হানা দিয়েছে পঙ্গপাল৷ জাতিসংঘের আশঙ্কা এদের ঠেকাতে না পারলে জুন নাগাদ তাদের জনসংখ্যা ৫০০ গুণ বৃদ্ধি পেতে পারে। পৌছাতে পারে ৩০টি দেশে। আর খারাপ পরিস্থিতিতে বিশ্বের ২০ ভাগ ভূমি খুব সহজেই আক্রান্ত হবে। ১০ ভাগের এক ভাগ মানুষের বেঁচে থাকার মতো খাবারের অভাব দেখা দিবে। এসব পতঙ্গ প্রতিদিন তাদের নিজেদের ওজনের সমপরিমাণ খাবার খেতে পারে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক বিশেষজ্ঞের মতে, ম্যানহাটনের আকৃতির পঙ্গপালের একটি ঝড় গোটা নিউইয়র্কের জনসংখ্যার প্রয়োজনীয় খাবার সাবাড় করতে পারে। প্রতি কিলোমিটারে ঝাঁকে চার থেকে আট কোটি পতঙ্গ থাকে। মরু পতঙ্গরারা আবার ঝাঁক ধরে উড়ে।

কেনিয়ায় এমন একটি পঙ্গপাল দৈর্ঘ্যে ৩৭ মাইল আর প্রস্থে ২৫ মাইলের আকার নিয়েছে। যেখানে যাচ্ছে সেখানে রীতিমত সূর্যের আলো তারা ঢেকে ফেলতে পারে। সব মিলিয়ে ৭০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে পড়েছে দেশটি। অন্যদিকে ইথিওপিয়া ও সোমালিয়া ২৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় সঙ্কটে পড়েছে পঙ্গপাল নিয়েআ। পঙ্গপাল নিয়ন্ত্রণের সহজ কোনো উপায় নেই। উড়োজাহাজে, গাড়িতে করে কিংবা বহনযোগ্য যন্ত্রের সাহায্যে কীটনাশক ছিটিয়ে সাধারণত এদের দমন করা হয়। সমস্যা হল এতে উপকারী কীটপতঙ্গও মারা পড়ে। কীটনাশক ছাড়া বিকল্প উপায়ে পঙ্গপালের বংশবিস্তার কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় তা নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে।

J A Suhag

Local News: J A Suhag writes Local News articles for industries that want to see their Google search rankings surge. His articles have appeared in a number of sites. His articles focus on enlightening with informative Services sector needs. he holds the degree of Masters in Business and Marketing. Before he started writing, he experimented with various professions: computer programming, assistant marker, Digital marketing, and others. But his favorite job is writing that he is now doing full-time. Address: 44/8 - North Dhanmondi, Dhaka Email: [email protected]

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button