৩১ জুলাই ঈদুল আযহা – রাজধানীর যেসব স্থানে বসবে পশুর হাট !!
এবার দেশে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৩১ জুলাই বা ১ আগস্ট অনুষ্ঠিত হতে পারে মুসলিমদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা। আসন্ন ঈদুল আযহায় রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ২৪টি অস্থায়ী কোরবানি পশুর হাট বসবে। এরমধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) ১৪টি এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় বসবে ১০টি।
আর সেই সঙ্গে গাবতলীর স্থায়ী পশুর হাটেও চলবে কোরবানির পশু বেচা-কেনা। এরই মধ্যে হাট ইজারা চূড়ান্ত করতে দরপত্র আহ্বান করেছে ডিএসসিসি। আর ডিএনসিসি এখনও দরপত্রের প্রস্তুতি নিচ্ছে। দুই সিটি করপোরেশন সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।ডিএসসিসি সূত্র জানা গেছে, গত ১৪ জুন ১৪টি হাটের অস্থায়ী ইজারার জন্য দরপত্র আহ্বান করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। দরপত্রে উত্তর শাহজাহান পুরের মৈত্রী সংঘ মাঠ এলাকার খালী জায়গার ইজারা মূল্য ধরা হয়েছে ৮ লাখ ৬৯ হাজার ৫৫৫ টাকা। যা গত বছর ৮ লাখ ৪০হাজার টাকায় ইজারা দেওয়া হয়েছে।
হাজারীবাগের ইনস্টিটিউট অফ লেদার টেকনোলোজি মাঠ সংলগ্ন খালি জায়গার ইজারা মূল্য ১ কোটি ৭ লাখ ৬ হাজার টাকা। যা গত বছর ৯৮ লাখ টাকায় ইজারা দেওয়া হয়। কামরাঙ্গীরচরের ইসলাম চেয়ারম্যান বাড়ি থেকে দক্ষিণ বুড়িগঙ্গা বাঁধ পর্যন্ত খালি জায়গা ৫ লাখ ৭২ হাজার ৪০০ টাকা। যা গত বছর ৫ লাখ ৮০ হাজার টাকায় ইজারা দেওয়া হয়। পোস্তাগোলা শ্মশান ঘাট এলাকার খালি জায়গা ৩১ লাখ ৬৯ হাজার ৪০০ টাকা। যা গতবছর ২৮ লাখ ৫ হাজার টাকায় ইজারা দেওয়া হয়।
শ্যামপুর বালুর মাঠ সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা ১ কোটি ২ লাখ ১১ হাজার ৩৩৫ টাকা। যার গত বছর সরকারি মূল্য ছিল ৯৮ লাখ ৫৮ হাজার ২৪৮ টাকা। কিন্তু হাটটির সরকারি মূল্য না পাওয়ায় ইজারা দেওয়া হয়নি। পরে খাস আদায়ের মাধ্যমে এ থেকে রাজস্ব আদায় করে ডিএসসিসি।মেরাদিয়া বাজারের আশপাশের খালি জায়গা ১ কোটি ৯ লাখ ৩৯ হাজার ৮০০ টাকা। গত বছর হাটটি ইজারা দেওয়া হয় এক কোটি ৪০ লাখ ৫ হাজার টাকা। আরমানিটোলা মাঠ সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা ১ কোটি ৬৫ লাখ ২৮ হাজার ৫৪ টাকা। গত বছর এই হাটটি ইজারা দেওয়া হয়েছে ৫০ লাখ টাকা।
গোপীবাগে বালুর মাঠ ও কমলাপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা ৮৭ লাখ ২০ হাজার ৬৮৫ টাকা। গতবছর হাটটি এক কোটি ৮১ লাখ ৮১ হাজার ১৮১ লাখ টাকায় ইজারা দেওয়া হয়। যাত্রাবাড়ীর দনিয়া কলেজ সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা ১ কোটি ৫৪ লাখ ৪০ হাজার ৬৬৭ টাকা। যার গতবছর হাটটি এক কোটি ১২ লাখ টাকায় ইজারা দেওয়া হয়।
ধূপখোলা মাঠ সংলগ্ন খালি জায়গা ৪৬ লাখ ৮১ হাজার ৩৩৪ টাকা। যার গতবছর সরকারি মূল্য নির্ধারিত ছিল ৩২ লাখ ৩০ হাজার টাকা। আর ইজারা দেওয়া হয় ৩২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সাদেক হোসেন খোকা মাঠ সংলগ্ন ধোলাইখাল ট্রাক-স্ট্যান্ড এলাকা ২৬ লাখ ৮৭ হাজার ৮০৭ টাকা। গতবছর এর সরকারি মূল্য ছিল এক কোটি ৬১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। আর ইজারা দেওয়া হয়েছে এক কোটি ৬২ লাখ টাকা ৭৭ হাজার টাকা এবং ৫১০ টাকা।
আফতাব নগরের (ইস্টার্ন হাউজিং) ব্লক ই, এফ, জি ও এইচ এবং সেকশন-১ ও ২ এর খালি জায়গা ৬৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা। যার গত বছর সরকারি মূল্য ছিল ৬৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা। আর ইজারা দেওয়া হয়েছে ৭০ লাখ টাকায়। আশুলিয়া মডেল টাউনের খালি জায়গা ১১ লাখ ১৫ হাজার ৬৫০ টাকা। যার গতবছর সরকারি মূল্য ছিল ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
কিন্তু এই দর কেউ না দেওয়ায় পরে হাটটিতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় খাস আদায় করে ডিএসসিসি। এতে মাত্র ৬ লাখ টাকা রাজস্ব পাওয়া যায়। লালবাগের রহমতগঞ্জ খেলার মাঠের আশপাশের খালি জায়গা ১১ লাখ ৭৩ হাজার ৩৫০ টাকা। গত বছর এর সরকারি মূল্য ছিল ১০ লাখ ৭০ হাজার ১২৩টাকা। হাটটি ইজারা হয়েছে ১২ লাখ ৭ হাজার ১৫০ টাকায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. রাসেল সাবরিন বলেন, ডিএসসিসি এলাকার অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাটের দরপত্র প্রকাশ করে ইজারার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। ইজারা চূড়ান্ত হলে করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে কিভাবে হাট পরিচালনা করা হবে সে বিষয়ে ইজারাপ্রাপ্তদের নির্দেশনা দেওয়া হবে।
এদিকে ডিএনসিসির সম্পত্তি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ডিএনসিসি এলাকায় ১০টি অস্থায়ী পশুর হাট ইজারা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তবে হাটগুলো এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি। আগামী রোববার নাগাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, (১৭ জুন) হাট ইজারা দেয়ার বিষয়ে আমরা আভ্যন্তরীণ একটা মিটিং করেছি। মিটিংয়ে ১০টি হাট ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।