Islamic

৩ বার সূরা ইখলাস পাঠ করলে পাওয়া যায় এক খতম কোরআন তেলাওয়াতের সওয়াব !!

কুরআন মুসলমানদের প্রধান ধর্মগ্রন্থ। ইসলামী ইতিহাস অনুসারে দীর্ঘ তেইশ বছর ধরে খণ্ড খণ্ড অংশে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর নিকট অবতীর্ণ হয় পবিত্র কুরআন। একজন মুসলমান হিসেবে অবশ্যই আমাদের কুরআন পড়া উচিৎ। কুরআনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূরা হচ্ছে আল ইখলাস।

সূরা আল ইখলাস মুসলমানদের পবিত্র ধর্মীয় গ্রন্থ আল কোরআনের ১১২ নম্বর সূরা, এর আয়াত সংখ্যা ৪ এবং রূকুর সংখ্যা ১টি। সূরা আল ইখলাস মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। এই সূরাটিকে প্রিয়নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে ব্যাখ্যা করেছেন।

তাৎপর্যের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, এই সূরাটিতে আল্লাহ তায়ালার অস্তিত্ব ও সত্তার সবচেয়ে সুন্দর ব্যাখ্যা রয়েছে। এটি কোরআনের অন্যতম ছোট একটি সূরা হিসেবেও বিবেচিত হয়ে থাকে। এই সূরাটি কোরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান বলা হয়।

সূরা ইখলাসের উপকারিতা ও ফজিলত সম্পর্কে মুসলিম, তিরমিজী, আবু দাউদ ও নাসায়ীতে একাধিক হাদিস রয়েছে। হজরত ওকবা ইবনে আমের বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেন, আমি তোমাদেরকে এমন তিনটি সূরা বলছি, যা; তাওরাত, ইঞ্জিল, জবুর এবং কোরআন সহ সব কিতাবেই অবতীর্ণ হয়েছে। রাতে তোমরা ততক্ষণ নিদ্রা যেয়ো না, যতক্ষণ সূরা ইখলাস, ফালাক ও নাস না পাঠ কর। ওকবা বলেন, সেদিন থেকে আমি কখনো এ আমল পরিত্যাগ করিনি (ইবনে কাসীর)।

তা ছাড়া আবু দাউদ, তিরমিজী এবং নাসায়ীর এক দীর্ঘ বর্ণনায় রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় সূরা ইখলাস, ফালাক ও নাস পাঠ করে তা তাকে বালা-মসিবত থেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য যথেষ্ট হয় (ইবনে কাসীর)।

সহিহ হাদিসে আছে সূরা ইখলাস ৩ বার পাঠ করলে এক খতম কোরআন তেলাওয়াতের সমপরিমান সওয়াব পাওয়া যায়। বোখারিতে আয়েশা (রা.) থেকে এক রেওয়ায়েতে উল্লেখ আছে, এক যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ (সা.) এক ব্যক্তিকে আমির নিযুক্ত করে দেন, তিনি সেনা সদস্যদের নামাজে ইমামতিকালে সূরা ফাতিহা ও অন্য সূরা শেষে প্রত্যেক রাকাতেই সূরা ইখলাস পাঠ করতেন। যু’দ্ধ থেকে ফিরে লোকেরা এ ব্যাপারে অভিযোগ কররে তিনি তাকে ডেকে এর কারণ জিজ্ঞাসা করেন, আমির বা নেতা উত্তর দেন যে আমি এই সূরাকে ভালোবাসি। একথা শুনে রাসূল (সা.) বললেন, তাহলে আল্লাহও তোমাকে ভালোবাসে। -বোখারি কিতাবুল মাগাযী দেখুন।

বোখারীর কিতাবুস সালাতে আনাস (রা.) এর সূত্রে অনুরুপ আরেকটি হাদিস বর্ণিত, কুবা মসজিদে এক আনসার সাহাবি ইমামতি করতেন, তিনি প্রত্যেক রাকাতে ফাতিহার পর সূরা ইখলাস পাঠ করে অন্য সূরা পড়তেন। লোকেরা এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (সা.) এর কাছে অভিযোগ করলে তিনি (সা.) তাকে ডেকে এর কারণ জিজ্ঞাসা করেন, উক্ত আনসারী বললেন আমি এ সূরাকে ভালোবাসি। তাই এরূপ করি। রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, এই সূরার প্রতি তোমার ভালোবাসা তোমাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে। (বোখারি: ১০৭ নম্বর পৃ:)।

নবী (সা.) ইরশাদ করেছন, যে ব্যক্তি কুলহু আল্লাহু আহাদ সূরাটি ১০ বার পাঠ করবে আল্লাহ তায়ালা জান্নাতে তার জন্য একটি বালাখানা তৈরি করে দেন। আর যে ২০ বার পাঠ করে তার জন্য দু’টি বালাখানা এবং ৩০ বার পাঠ করবে তার জন্য তিনটি বালাখানা তৈরি করেন।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সূরা আল ইখলাস পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

J A Suhag

Local News: J A Suhag writes Local News articles for industries that want to see their Google search rankings surge. His articles have appeared in a number of sites. His articles focus on enlightening with informative Services sector needs. he holds the degree of Masters in Business and Marketing. Before he started writing, he experimented with various professions: computer programming, assistant marker, Digital marketing, and others. But his favorite job is writing that he is now doing full-time. Address: 44/8 - North Dhanmondi, Dhaka Email: [email protected]

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button