৪০ পয়সার ওষধই আশার আলো দেখাচ্ছে করোনা চিকিৎসায় ??

প্রা’ণঘা’তী করোনাভা’ইরাসে বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব। এই ভা’ইরাসের বিষাক্ত ছোবলে ইতোমধ্যে বেসামাল হয়ে পড়েছে আমেরিকা ও ইউরোপের দেশ ব্রিটেন, ইতালি, স্পেন ও ফ্রান্স। করোনার হানায় মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে এসব দেশ। অথচ এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিষেধক আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি করোনাভা’ইরাসের।

তবে বসে নেই চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা। করোনার ওষুধ তৈরি করতে ব্যস্ত এখন গোটা বিশ্ব। ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্যও গবেষণা চলছে জোর কদমে৷ কার্যত, কোন দেশ আগে করোনার ওষুধ ও ভ্যাকসিন আনতে পারে, এ নিয়ে রীতিমতো প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে৷ মাঝে মাঝে আশার আলোও দেখা যাচ্ছে৷

এই ঘোর মহামারীর মধ্যে আরও একটি আশার আলো দেখল ভারত৷ এবার জল্পনা তুঙ্গে একটি অতি স্বস্তার অ্যান্টাসিড নিয়ে৷ অ্যান্টাসিডটি হল ফ্যামোটিডিন৷ নয়া গবেষণায় এরকমই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে৷
মোদি সরকারও ভারতীয় জনৌষধী পরিযোজনাসহ বিভিন্ন ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাকে ফ্যামোটিডিন পর্যাপ্ত পরিমাণে তৈরি রাখারও নির্দেশ দিয়েছে৷ নির্দেশ দিয়েছে, এই অ্যান্টাসিডের পর্যাপ্ত জোগানের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে৷ করোনা চিকিৎসায় আশা জাগাতে পারে অ্যান্টাসিড ফ্যামোটিডিন, নতুন গবেষণায় এমনটাই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

নিউইয়র্কে করোনা রোগীদের উপরে এই ওষুধের ক্লিনিকাল ট্রায়ালে ভাল ফলাফল পাওয়া গেছে বলে দাবি করা হয়েছে। চীনেও এই ওষুধের ট্রায়াল চলছে। ভারতে ফ্যামোটিডিন পর্যাপ্ত পরিমাণেই পাওয়া যায়। দাম মাত্র ৪০ পয়সা।সূত্রের খবর, এই ওষুধের উৎপাদন আরও বাড়ানোর জন্য দেশের সরকারি ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে মোদী সরকার।

ফ্যামোটিডিন বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নামে বিক্রি হয়- ভারতে ফ্যামোসিড ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পেপসিড ইত্যাদি৷ ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সূত্র জানাচ্ছে, অন্যান্য দেশের গবেষণার ফলে যা বোঝা যাচ্ছে, খুব শীঘ্রই ফ্যামোটিডিনের চাহিদা বাড়তে চলেছে, যেমনটা হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের ক্ষেত্রে হয়েছে৷ তাই তৈরি থাকার মধ্যে তো কোনও দোষ নেই৷

সার ও রাসায়নিক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মনসুখ মন্দভ্যের নেতৃত্বে একটি বৈঠকে ফ্যামেটিডিনের পর্যাপ্ত জোগান নিয়ে আলোচনা হয়৷ এই ওষুধটি সরকারের জনৌষধী প্রকল্পের আওতায় দেশের বিভিন্ন জনৌষধী আউটলেটে দেওয়া হবে বলেও বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সূত্র: দ্য প্রিন্ট

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *