৫০০ বাংলাদেশি চীনের উহান শহরে আ’টকা পড়েছে – খাবারও শেষ প্রায় !!
করোনাভাইরাস আ’ক্রা’ন্ত চীনা শহর উহানে প্রায় ৫০০ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী আ’ট’কা পড়েছেন। তারা নিজেদের নি’রা’পদ ভাবতে পারছেন না। দেশে ফেরারও সুযোগ নেই। ওই শহর থেকে বহির্গামী সব বাস-ট্রেন ও বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারা দেশে ফেরার আ’কু’তি জানিয়ে পোস্ট দিচ্ছেন।
রাকিবিল সূর্য নামের এক শিক্ষার্থী সর্বশেষ পরিস্থিতি জানিয়েছেন একটি পোস্টে। বাংলায় লেখা পোস্টে বলেছেন, ‘সম্প্রতি চীনে ছড়িয়ে পড়া করো’নাভা’ইরাসে আ’ক্রা”ন্ত শহর উহানে আমরা বাস করছি। এখানে প্রায় ৫০০ জনেরও অধিক বাংলাদেশি ছাত্র উহানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাচেলর, মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রামে অধ্যয়নরত।
উহান থেকে বহির্গামী সব বাস-ট্রেন এবং বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। করোনা ভা’ইরাসে আ’ক্রা’ন্ত হয়ে এ পর্যন্ত অ’ন্ত’ত ২৫ জন মা’রা গেছে এবং ৬০০-এরও বেশি মানুষ এতে আ’ক্রা’ন্ত হয়েছে। আমরা চাইলেও এখন নিজ দেশে ফিরে যেতে পারছি না। বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে আমাদের খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে এমন নিউজ বালাদেশের মিডিয়াতে প্রচার করা হলেও এ খবর ভিত্তিহীন। আমাদের এখন পর্যন্ত কোনো প্রকার খোঁজ-খবর নেয়া হয়নি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর পাঠানো এক বার্তায় ড. রেজা সুলতানুজ্জামান একই অ’ভিযোগ করেছেন। বলেছেন, দূতাবাসের কেউ এখন পর্যন্ত যোগাযোগ করেনি। ড. রেজা এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর হ’স্তক্ষেপ কামনা করেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশি ছাত্ররা বলছেন, খাদ্যের মজুত দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। উহান শহরের বেশির ভাগ সুপারস্টোর এখনো বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় উ’দ্বেগের মধ্যে রয়েছেন তারা। এক কোটি ১০ লাখ মানুষের এই শহর কার্যত অ’চল হয়ে আছে। সব যাত্রীবাহী ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে বিমানবন্দরে। শহরের সব প্রধান সড়কের চেকপয়েন্ট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। উহান শহরের কাছে আরো কমপক্ষে ১০টি শহরে একই রকম অচলাবস্থা আরোপ করেছে কর্তৃপক্ষ।
হুবেই ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিতে অধ্যয়ন করেন আসিফ আহমেদ সৌরভ। তিনিও একই অবস্থার শি’কার। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডরমেটরিতে অ’বরুদ্ধ হয়ে পড়া অন্য এক ছাত্র সাহায্য চেয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। তার মতে, শুধু তার বিশ্ববিদ্যালয়েই আছেন কমপক্ষে ১৪০ জন বাংলাদেশী শিক্ষার্থী। কিন্তু তাদের খোঁজখবর বাংলাদেশি মিশন অথবা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোন কর্মকর্তা নেননি।
বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউ একজনও আ’ক্রা/ন্ত হননি। এ জন্য কেউ যাতে আ’ক্রা’ন্ত না হন তা নিশ্চিত করতে অধিক নজরদারি করা হচ্ছে। ছাত্রদের চলাচল ক’ঠোরভাবে সীমিত করা হয়েছে। একটি রেজিস্ট্রার বইয়ে নাম স্বাক্ষর করতে হয়। এর মাধ্যমে জানাতে হয় কোথায় যাচ্ছি। এরপরই যেতে দেয়া হয়। অন্যদিকে সব দোকানপাট বন্ধ। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারছি না।