৫ হাজার যাত্রী নিয়ে ছাড়ল ফেরি – নিতে পারেনি কোনো গাড়ি !!
গতকাল মধ্যরাত থেকে বাংলাবাজার-শিমুলীয়া নৌরুটে ফেরি সার্ভিস বন্ধ ঘোষণা করেছে বিআইডব্লিউটিসি। সীমিত পরিসরে শুধুমাত্র অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি গাড়ি পারাপার করা হচ্ছে। তবে যাত্রীচাপে দুপুরে ফেরি চালু করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। এদিন শিমুলিয়া পাড় থেকে ছেড়ে আসা রো রো ফেরি এনায়েতপুরীর একটি ট্রিপেই পাঁচ হাজারের বেশি যাত্রী পারাপার হয়। যাত্রীচাপে ওই ট্রিপে কোনো গাড়িই নিতে পারেনি ফেরিটি।
ঢাকা থেকে অনেক ভোগান্তি শেষে শিমুলিয়া ঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষার পর ফেরিতে পদ্মা পাড়ি দিয়ে বাংলাবাজার ঘাটে এসে কোনো গাড়ি না পেয়ে যাত্রীরা মোটরসাইকেল, থ্রি হুইলার, অটোরিকশা করে কয়েকগুণ ভাড়া গুনে গন্তব্যে পৌঁছায়।এদিকে ঘাট সূত্র জানায়, শুক্রবার রাতে এ নৌরুটের ফেরি সার্ভিস বন্ধ ঘোষণা করে বিআইডব্লিউটিসি। তবুও শনিবার সকাল থেকেই উভয় পাড়ে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ শুরু হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রী ও যানবাহনে সয়লাব হয়ে যায় ঘাট এলাকা। এদিন দক্ষিণাঞ্চল থেকে রোগী নিয়ে আসা অ্যাম্বুলেন্সগুলোকে বাংলাবাজার ঘাটে অপেক্ষা করতে দেখা যায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
অবশেষে যাত্রীচাপে বাধ্য হয়ে দুপুরে শিমুলিয়া থেকে মাত্র দুটি ফেরি চালু করে কর্তৃপক্ষ। এদিন শিমুলিয়া ঘাট থেকে শুধুমাত্র যাত্রী নিয়ে ছেড়ে আসে রো রো ফেরি এনায়েতপুরী। ওই ফেরিটিতে একটি ট্রিপেই পাঁচ হাজারের বেশি যাত্রী পারাপার হয়।যাত্রী চাপে ওই ট্রিপে কোনো গাড়িই নিতে পারেনি ফেরিটি। গাদাগাদি করে চলতে হয় সবাইকে। ফলে স্বাস্থ্যবিধি পালনের কোনো হদিসই ছিল না। ঢাকা থেকে পথে পথে বিভিন্ন হালকা যানবাহনে বাড়তি ভাড়া দিয়ে ফেরি ঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা শেষে ফেরিতে গাদাগাদি করে পদ্মা পাড়ি দিয়ে বাংলাবাজার ঘাটে এসে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে পৌঁছতে যাত্রীরা আরো ভোগান্তির শিকার হন।
দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ থাকায় বাংলাবাজার ঘাট থেকে অটোরিকশা, সিএনজি, মোটরসাইকেলে বরিশালে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, গোপালগঞ্জ ৫০০ টাকা, খুলনা ৭০০ টাকা, মাদারীপুর ২০০ টাকা, বাগেরহাট ৬৫০ টাকাসহ প্রতিটি যানবাহনেই যাত্রীদের কাছ থেকে কয়েকগুণ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে যাত্রীরা অভিযোগ করেন।
রো রো ফেরি এনায়েতপুরীর সেকেন্ড মাস্টার ইনচার্জ আমির হোসেন বলেন, আজ শিমুলিয়া থেকেই একটি ট্রিপেই পাঁচ হাজারের বেশি যাত্রী পার করেছি। ওই ট্রিপে কোনো গাড়ি তুলতে পারিনি।বিআইডব্লিউটিসির মেরিন কর্মকর্তা আহমেদ আলী বলেন, যাত্রীদের চাপ অনেক বেশি থাকায় ফেরিতে যানবাহন পারাপার বিঘ্ন ঘটছে।এর আগে, গতকাল শুক্রবার রো রো ফেরি এনায়েতপুরীর একটি ট্রিপে তিন হাজারের বেশি যাত্রী পারাপার করেছে। যাত্রীর চাপে ওই ট্রিপে শেষ পর্যন্ত গাড়ি নেওয়া যায়নি।