৬২’র যু’দ্ধে ভারতকে করুণা করে অরুণাচল ফিরিয়ে দিয়েছিলো চীন !!
উত্তপ্ত ভারত-চীন সীমান্ত। গেলো সপ্তাহেও দুই দেশের সেনাবাহিনীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছে ভারতের ২০ সেনা। চীনেরও ৪৩ সেনা নিহতের দাবি করা হয়েছে ভারতের পক্ষ থেকে।কূটনৈতিক ও সেনাবাহিনীর উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে সীমান্ত উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা চলছে। সমাধান না হলেই চলবে গোলাবারুদ, কামান। ব্যবহার হতে পারে মিসাইল।
এর আগে ১৯৬২ সালেও ভারত ও চীন সীমান্ত নিয়ে যু’দ্ধ করে। এতে চীন জয়লাভ করে। সময় সংবাদের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো সেই যু’দ্ধের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য।
যু’দ্ধের ইস্যু
২০২০ সালের মত ১৯৬২ সালেও সীমান্ত নিয়ে বিরোধ থেকেই যু’দ্ধ হয় দুই দেশের। চীন আগেই তিব্বতকে দখল করে। পরে বর্তমানে ভারতের অধীনে থাকা ‘অরুণাচল প্রদেশ’ ও ‘আকসাই চীন’কে নিজেদের পুরনো ভূখণ্ড বলে দাবি করে চীন। এতেই সীমান্তে শুরু হয় সমস্যা। যা গড়ায় যু’দ্ধের দিকে।
যু’দ্ধরত দুই দেশকে কোন কোন দেশ সমর্থন করেছিলো?
দুই দেশের যখন যু’ চলছে, ঠিক তখন বিশ্বের নানা দেশ যু’দ্ধরত দুই দেশকে সমর্থন দেয়। ভারতের পক্ষে দাঁড়ায় যুক্তরাষ্ট্র, সোভিয়েত ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্য।আবার চীনের সমর্থনে এগিয়ে আসে ভারতের কথিত চিরশত্রু পাকিস্তান। ওই সময় চীনের সঙ্গে গভীর মিত্রতা গড়ে তোলে পাকিস্তান।
চীনকে নিয়ে ভারতের দুই শক্তিধরের ভিন্ন মত
যু’দ্ধের আগে চীনকে অতিরিক্ত সহানুভূতির মনোভাব বা অবহেলার চোখে দেখেছিল ভারত। ভারত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে চীনের স্থায়ী সদস্য পদ পেতে সমর্থন করে। ভারতের ধারণা ছিল, চীন কখনই ভারতের ওপর হামলা করার দুঃসাহস দেখাতে পারবে না।
তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী চীনকে সহজভাবে নিয়েছিলেন। এ নিয়ে ভারতের তৎকালীন সেনাপ্রধান কোদানদেরা সুবাইয়া থিমাইয়ার সঙ্গে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মনোমালিন্য ছিল। কারণ সেনাপ্রধান চীনকে শক্ত প্রতিপক্ষ হিসেবে বিবেচনা করতেন।এ যু’দ্ধে জওহরলাল নেহেরু কিছুটা রক্ষণাত্মক কৌশল অবলম্বন করেন। তিনি চীনের সঙ্গে সৌহার্দপূর্ণ সহাবস্থানের ব্যাপারে জোর দেন। কেননা তিনি চীনের সম্ভাব্য ভারত আক্রমণ সম্পর্কে আশঙ্কা করেন।
যু’দ্ধের ফলাফল
যু’দ্ধে বিজয় হয় চীনা সামরিক বাহিনী। জয়ী হয়ে একতরফা যু’দ্ধবিরতি জারি করে চীন। আকসাই চীন নিজের দখলে রাখে কিন্তু অনেকটা করুণা করেই অরুণাচল প্রদেশ ফিরিয়ে দেয় ভারতকে।
সে যু’দ্ধের পর সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে ভারত। এরপরই শান্তিবাদী বিদেশনীতিও কিছুটা পরিবর্তন আনে দেশটি।