৭০ হাজার টাকা প্রতি মাসে বেতন! অথচ এক লাইন রিডিং পড়তে অক্ষম সরকারি শিক্ষিকা

এক মাস পর তাকে ৭০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। অন্যদিকে, শিক্ষক স্কুলে ইংরেজি শেখাতে হিমশিম খাচ্ছেন। উত্তর প্রদেশের একটি স্কুলে এমন ঘটনা দেখেছিলেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার পর মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওটি দেখার পর অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, শিক্ষকতা কী এমন যেখানে শিক্ষক নিজে ইংরেজির এক বিন্দু কথা বলতে পারেন না। সেই স্কুলের ছাত্ররা কি শিখবে?

শিক্ষাকে বলা হয় জাতির মেরুদণ্ড। পিতা -মাতার পর শিক্ষককে .শ্বর মনে করা হয়। কিন্তু সেই শিক্ষক কাল ইংরেজিতে কথা বলেন না। দূরে থাক, সে ইংরেজি পড়তে কষ্ট করছে। একজন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হঠাৎ উত্তরপ্রদেশের একটি স্কুলে শিক্ষার পরিকাঠামো তদারক করতে হাজির হন। তিনি তখন ইংরেজি শিক্ষককে পাঠ্যপুস্তকের ইংরেজি পড়া পড়তে বলেন।

ইংরেজি শিক্ষককে ইংরেজি পড়ার সময় বারবার হোঁচট খেতে হয়। এমন দৃশ্য দেখে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের চোখ চকচক করে উঠল। তিনি অবিলম্বে অশিক্ষিত শিক্ষককে স্কুল থেকে বহিষ্কার করার নির্দেশ দেন। স্কুলের শিক্ষক স্নাতক শেষ করেও একরঙা ইংরেজি পড়তে পারছেন না। শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। শিক্ষার্থীরা যদি ইংরেজি না জানে তাহলে তিনি কীভাবে পড়াবেন?

চাকরির অভাবে মানুষের আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়া অস্বাভাবিক নয়। যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি না পাওয়ার অনেক উদাহরণ আছে। অর্থাৎ, অশিক্ষিত শিক্ষক নিয়োগ করা মানে জাতির মেরুদণ্ড, অর্থাৎ শিক্ষার ক্ষতি, অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের ক্ষতি। যে শিক্ষার্থী ইংরেজি জানে না তার কাছ থেকে শিক্ষার্থীরা কী শিখবে। ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। সবাই প্রশ্ন তুলেছিল, আপনি কি যোগ্যতা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন?

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *