অজ্ঞান করে দুই ভাবির পাহারায় এক গৃহবধূকে ধর্ষণ এবং ভিডিও ধারণ!
জোবাইল ইসলাম (২৫) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে রংপুরের মিঠাপুকুরে এক গৃহবধূকে রসে চেতনানাশক ট্যাবলেট মিশিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে। রোববার রাতে (২৯ আগস্ট) রাতে মিঠাপুকুর থানায় জোবায়দুল ইসলামসহ চারজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার লতিবপুর ইউনিয়নে। যদিও ঘটনাটি ঘটেছিল ১৭ এপ্রিল, এক সপ্তাহ আগে, যখন গৃহবধূকে ভিডিও ফুটেজ ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছিল এবং তার সাথে দেখা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, তাকে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করতে বাধ্য করা হয়েছিল। আজ সোমবার (৩০ আগস্ট) জোবায়দুল ইসলামকে আদালতের মাধ্যমে রংপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
থানায় দায়ের করা মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, ১৭এপ্রিল জোবায়দুল ইসলাম (২৫) দুই প্রতিবেশী শাবলা বেগম ও রাশেদা বেগমের মাধ্যমে গৃহবধূকে তার বাড়িতে ডেকে পাঠান। পরে অ্যানেশথিক্সের রস খাওয়ানো হয়। তিনি অজ্ঞান হয়ে গেলে তাকে কয়েকবার ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। যখন তার জ্ঞান ফিরে আসে, সে বুঝতে পারে যে সে ধর্ষিত হয়েছে।
অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, জোবায়দুল ইসলামের দুই বোন তাদের মোবাইল ফোনে ধর্ষণের দৃশ্য রেকর্ড করেন। অভিযুক্ত ওই মহিলাকে ভিডিও রেকর্ডিং সম্পর্কেও জানিয়েছিল। ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার ভয়ে গৃহবধূকে কয়েকবার ধর্ষণ করা হয়। কাউকে না বলার জন্য গৃহবধূকেও হুমকি দেওয়া হয়েছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধর্ষিত গৃহবধূর স্বামী livesাকায় থাকেন। প্রকাশ্যে বিব্রত হওয়ার ভয়ে গৃহবধূ এতদিন চুপ ছিলেন। গত সপ্তাহে জোবায়দুল ইসলাম আবার ধর্ষণের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন এবং গৃহবধূকে শাবী বেগমের বাড়িতে রাত কাটাতে চাপ দেন। পরে তিনি তার মোবাইল ফোনে ঘটনাটি তার স্বামীকে জানাতে বাধ্য হন।
তার স্বামী ঢাকা থেকে এসে স্থানীয় মাতব্বরদের অবহিত করে বিচার দাবি করেন। কিন্তু জোবাইদুল ইসলামের পক্ষে মাতাব্বররা তার (জোবায়দুল) কাছ থেকে লাখ টাকার বেশি ছিনিয়ে নিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। গৃহবধূ রবিবার রাতে জোবায়দুল ইসলামসহ অন্য দুজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। জোবাইদুল ইসলামকে রাতে পুলিশ গ্রেফতার করে।