ঈদে নামাজ আদায়সহ ঈদ উপলক্ষে ডিএমপির ১৪ নির্দেশনা !!
করোনাভা’ইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ উন্মুক্ত স্থানে পড়া যাবে বলে ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এদিকে মসজিদে ঈদের নামাজ জামাতে আদায়ের ক্ষেত্রে কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
সেই নির্দেশনাগুলো হল-
১। ঈদের নামাজের জামাতের পূর্বে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে।২। ঈদের নামাজের জামায়াতের সময় মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।
৩। করোনাভা’ইরাস সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদে প্রবেশদ্বারে সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।৪। মসজিদের ওযুখানা ব্যবহার না করে প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসস্থান থেকে ওযু করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওযু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
৫। ঈদের নামাজের জামাতে আগত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে।৬। ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে। এক কাতার অন্তর অন্তর কাতারবদ্ধ হতে হবে।
৭। এক কাতার অন্তর অন্তর কাতারবদ্ধ হতে হবে।৮। করোনাভা’ইরাস সংক্রমণ রোধে মসজিদে জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো থেকে বিরত থাকুন।৯। মসজিদে শৃঙ্খলার সাথে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার ক্ষেত্রে পৃথক পৃথক ব্যবস্থা রাখার জন্য মসজিদ কমিটিকে অনুরোধ করা হলো।
১০। করোনা পরিস্থিতিতে আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের বাসায় যাতায়াত করা থেকে বিরত থাকুন।১১। ঈদের দিন ও পরবর্তী সময়ে বিনোদন কেন্দ্রে যাতায়াত না করে নিজ ঘরে অবস্থান করে পরিবারের সদস্যদের সাথে ঈদ উদযাপন করুন।১২। ঈদ উদযাপনের লক্ষ্যে যারা ঢাকার বাহিরে যাবেন তারা তাদের বাসা অথবা ফ্ল্যাটের মেইন গেটে অটোলক ব্যবহার করুন এবং বাসাবাড়ি ত্যাগের পূর্বে রুমের দরজা জানালা সঠিকভাবে তালাবদ্ধ করুন।
১৩। মালিক পক্ষ থেকে মার্কেট/শপিং মলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করুন এবং আপনার এলাকার থানা/ফাঁড়ির সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখুন।১৪। খালি বাসায় মূল্যবান সামগ্রী না রেখে ঢাকায় অবস্থান করছেন এমন আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় তা রেখে যান।