ক্লাস চলাকালে ফ্যান খুলে পড়ল মাথায়! শিক্ষিকা হাসপাতালে
শিক্ষানবিশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শামীমা নাসরিন (৩৫) ক্লাস চলাকালীন তার মাথায় সিলিং ফ্যান পড়ে গুরুতর আহত হন। তাকে জামালপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার বিকেলে জামালপুরের প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (পিটিআই) এই দুর্ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত শামীমা নাসরিন জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার পালিকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
পিটিআই সূত্রে জানা গেছে, পিটিআই-এর হলের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের প্রথম শিফটের ক্লাস চলাকালীন শনিবার দুপুর ১ টার দিকে শিক্ষানবিশ শামীমা নাসরিনের মাথায় হঠাৎ একটি সিলিং ফ্যান পড়ে যায়। তিনি গুরুতর আহত হন। দুর্ঘটনার সময় অন্যান্য প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছিল। তারা শামীমা নাসরিনকে দ্রুত জামালপুর সদর হাসপাতালের মহিলা সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে নিয়ে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষানবিশ শিক্ষক শনিবার রাতে কালের কণ্ঠকে বলেন, গুরুতর আহত শিক্ষক শামীমা নাসরিনকে সিটি স্ক্যানসহ বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করতে হবে। তাই তাকে শহরের বেসরকারি শাহজামাল (রহ।) জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার মাথায় আঘাতের স্থানটির সিটি স্ক্যান চলছে। সিটি স্ক্যান রিপোর্ট পাওয়ার পর চিকিৎসকরা আপনাকে বলতে পারবেন চিকিৎসার পরবর্তী পদ্ধতি কি হবে।
এদিকে, ভয়াবহ দুর্ঘটনা সত্ত্বেও, শনিবার দুপুর ৩ টার দিকে পিটিআইকে দুর্ঘটনাস্থলে ক্লাস নিতে দেখা গেছে। প্রশিক্ষণার্থীদের দাবি, শ্রেণিকক্ষে সিলিং ফ্যান বেশ পুরনো। বারবার অভিযোগ করেও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
পিটিআইয়ের ভারপ্রাপ্ত সুপারিনটেনডেন্ট। শহীদুল্লাহ কালের কণ্ঠকে বলেন, ক্লাস চলাকালে মাথার উপর সিলিং ফ্যান খোলার সময় গুরুতর আহত শামীমা নাসরিন নামে একজন শিক্ষক চিকিৎসাধীন ছিলেন। হাসপাতালে ভর্তি সহ তার চিকিৎসার জন্য কর্তৃপক্ষ তার পাশে রয়েছে। আপাতত, তার বড় বিপদ শেষ। তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা চলছে।
পুরনো সিলিং ফ্যান প্রসঙ্গে। শহীদুল্লাহ বলেন, শীঘ্রই পুরনো সিলিং ফ্যান খুলে নতুন ফ্যান বসানো হবে। একই সময়ে, যে ফ্যানগুলি ঠিক আছে কিন্তু তারের ক্ষতি হয়, তারের পয়েন্টগুলি সরানো হবে এবং নতুন ফ্যান ইনস্টল করা হবে।