জেনে রাখা ভালো, হঠাৎ গ্যাসলাইনে বিস্ফোরণ হলে যা করবেন !!
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দিনেরবেলায় গ্যাস না থাকায় সিলিন্ডার ব্যবহার করেন অনেকে। এ ছাড়া নতুন অনেক আবাসিক ও অফিস ভবন রয়েছে, যেখানে গ্যাস সংযোগ না থাকায় সিলিন্ডার গ্যাসই একমাত্র ভরসা। তবে এই সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহারের ঝুঁকি অনেক বেশি। এ তো গেল গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের খবর। রোববার সকালে চট্টগ্রামের পাথরঘাটা এলাকায় একটি বাড়িতে গ্যাসলাইন বিস্ফোরণে অন্তত সাতজনের মৃত্যুর হয়েছে।
পাথরঘাটা ব্রিকফিল্ড রোডের বড়ুয়া বিল্ডিংয়ের নিচতলায় এ ঘটনা ঘটে। ওই বাড়ি থেকে আহত আরও আটজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সম্প্রতি গ্যাস সিলিন্ডার ও গ্যাসলাইন বিস্ফোরণে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
আসুন জেনে নিই হঠাৎ গ্যাস সিলিন্ডার ও গ্যাসলাইনে বিস্ফোরণে যা করবেন-
১. রান্নার কাজ শেষ হলে চুলা বন্ধ রাখতে হবে। এতে একদিকে গ্যাসের অপচয় রোধ হবে, অন্যদিকে বিস্ফোরণের ঝুঁকি কমবে।২. গ্যাসের চুলা জ্বালানোর পর দিয়াশলাই কখনই সিলিন্ডারের ওপরেই রাখবেন না। দিয়াশলাই দূরে সরিয়ে রাখুন।
৩. গ্যাসের পাইপলাইন পরিষ্কার করতে সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার বিপদজ্জনক। তাই পাইপ পরিষ্কার করতে কখনও এসব জিনিস ব্যবহার করা যাবে না। পাইপ যদি অতিরিক্ত ময়লা হয়ে থাকে, তবে পরিষ্কার করতে শুকনো কাপড় বা হালকা ভেজা কাপড় ব্যবহার করতে পারেন।
৪. পাইপলাইনে কোনো লিক বা ফুটো থাকলে অবশ্যই তা বদলে ফেলতে হবে। এ ছাড়া পাইপের গায়ে কোনো কাপড় বা প্লাস্টিক দিয়ে মুড়িয়ে রাখবেন না। এতে বিস্ফোরণের শঙ্কা বাড়ে।
৫. গ্যাসের রেগুলেটরের নল ভালো করে পাইপ দিয়ে ঢেকে রাখুন। গ্যাস বন্ধ করে ঘর থেকে বের হওয়ার সময় দেখে নিন গ্যাসের পাইপ গরম বার্নারের গায়ে লেগে আছে কিনা? যদি থাকে সরিয়ে দিন।
৬. ঘরে ঢুকেই যদি গ্যাসের গন্ধ পান, তবে ফ্যান বা সুইচ বোর্ড বা বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম চালু করবেন না। এতে গ্যাস মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পুরো ঘরে আগুন ধরে যাবে। গ্যাস বেরিয়ে যাচ্ছে এমন মনে হলে দ্রুত ব্যবস্থা নিন।
৭. বিস্ফোরণ থেকে নিরাপদ থাকতে সেফটি ক্যাপ ব্যবহার জরুরি। রান্না শেষে সিলিন্ডারের মুখ ঢেকে রাখুন সেফটি ক্যাপে।