পাহাড়ের নিচে উহানের সেই ল্যাবে কি পরিমাণ ভা’ইরাস আছে ??
বিশ্বব্যাপী আজ আ’তঙ্কের নাম করোনাভা’ইরাস। গোটা বিশ্বে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে এই ভা’ইরাস। এটি এখন পর্যন্ত ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে থাবা বসিয়েছে। এতে সারাবিশ্বে আ’ক্রান্ত হয়েছে ২৪ লাখ ৭ হাজার ৫শ’ মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৮২ জনের।
প্রা’ণঘাতী করোনাভা’ইরাস কি উহানের ল্যাব থেকেই ছড়িয়ে পড়েছে? গোটা বিশ্বে এখন এটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। এরই মধ্যে উহানের ওই ল্যাব নিয়ে সামনে এল আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সেখানে নাকি এশিয়ার সবচেয়ে বড় ‘ভা’ইরাস ব্যাংক’ রয়েছে। চীনের একটি ছোট্ট শহর উহান। শহরটির নামের সঙ্গে আমরা অনেকেই হয়তো পরিচিত ছিলাম না, কিন্তু করোনাভা’ইরাসের উৎস হিসেবে আজ সেই নাম যথেষ্ট পরিচিত।
আমেরিকার দাবি, উহানের ওই ল্যাবরেটরি থেকেই লিক হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে ভা’ইরাস। উহানের মাছের বাজারের সঙ্গে ভা’ইরাসের কোনও সম্পর্ক নেই বলেই মনে করছে বহু বিশেষজ্ঞ। আমেরিকা এই বিষয়ে রীতিমত তদন্ত শুরু করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব মাইক পম্পেও জানিয়েছেন, কীভাবে গোটা বিশ্বে এই ভা’ইরাস ছড়িয়ে পড়ল তার নিখুঁত তদন্ত করবে আমেরিকা।
কী এই ইনস্টিটিউট অব ভা’ইরোলজি?
চীনের ‘ভা’ইরাস কালচার কালেকশনের কেন্দ্র এই গবেষণাগার। বলা যেতে পারে এটাই্ এশিয়ার বৃহত্তম ভা;ইরাস ব্যাংক। যেখানে ১৫ হাজার ধরনের ভা’ইরাসের নমুনা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। এবোলার মত ভা’ইরাস নিয়েও গবেষণা করে এরা। যেসব ভা’ইরাস মানুষ থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ছড়াতে পারে, সেরকম ভা’ইরাস রয়েছে এই গবেষণাগারে।৪২ মিলিয়ন ডলারে তৈরি করা হয় এই ভা’ইরোলজি ল্যাবরেটরি। ২০১৫ সালে ল্যাব তৈরির কাজ শেষ হয়। ২০১৮ থেকে এখানে গবেষণার কাজ শুরু হয়। এখানে অবশ্য একটি ল্যাবরেটরি রয়েছে, যা ২০১২ থেকে কাজ শুরু করেছে।
এই গবেষণাগারটি অবস্থিত জঙ্গলে ঘেরা একটি পাহাড়ের তলায়। পাশেই রয়েছে জলাশয়। লোকালয় থেকে দূরে এই গবেষণাগার ৩২ হাজার স্কয়ার ফুট জায়গা জুড়ে রয়েছে। বিল্ডিং-এর বাইরে একটি সতর্কবার্তা লেখা রয়েছে। সেখানে লেখা আছে, ‘শক্তিশালী প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে আ’তঙ্কিত হবেন না, অফিসিয়াল ঘোষণা শুনুন, বিজ্ঞানে বিশ্বাস করুন, গুজব ছড়াবেন না’।