প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ৫০ লাখ টাকা দিলেন তাপস-মুন্নি !!
প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে ৫০ লাখ টাকার অনুদান দিয়েছে দেশের সংগীতভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল গানবাংলা ও দেশের অন্যতম বৃহৎ ইভেন্ট প্রতিষ্ঠান ওয়ান মোর জিরো কমিউনিকেশন্স।
প্রতিষ্ঠান দুটির চেয়ারপারসন ফারজানা মুন্নি ও প্রধান নির্বাহী কৌশিক হোসেন তাপস বুধবার (১৫ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে তার কার্যালয়ে অনুদান গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।
এ প্রসঙ্গে তাপস বলেন, ‘সংস্কৃতিকর্মীদের যেকোনো সমস্যা-সংকটে সবসময় পাশে থেকেছেন প্রধানমন্ত্রী। এমন দুর্যোগে দেশের সকল মানুষের পাশে থাকতে গানবাংলা পরিবারের এ ক্ষুদ্রতম অনুদান গ্রহণ করায় আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমরা মনে করছি এ অংশগ্রহণ দেশের সকল সংস্কৃতিকর্মী ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিত্ব করছে। করোনাযুদ্ধে বাংলাদেশের বিজয় নিশ্চিত করতে যেকোনো প্রয়োজনে, আপনার যেকোনো নির্দেশে আমরা নিজেদের সর্বস্ব দিতে প্রস্তুত আছি।’
গত ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখে গানবাংলার উদ্যোগে নির্মিত রবীন্দ্রনাথের ‘এসো হে বৈশাখ’ গানে ঘরে বসেই কণ্ঠ দিয়েছেন ১০০ জন সংগীতশিল্পী। গানটির শুরুতে প্রাসঙ্গিকভাবেই বৈশাখী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী কণ্ঠে সত্তেন্দ্রনাথ দত্তের ‘মেঘ দেখে কেউ করিসনে ভয়’ ও রবীন্দ্রনাথের ‘এসো হে বৈশাখ’ গানের পংক্তিবিশেষ উচ্চারণের অংশটুকু যুক্ত করার কথা প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন তাপস।
এ সময় প্রতিউত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাত উঁচিয়ে দৃঢ় কণ্ঠে পুনঃউচ্চারণ করেন, ‘মেঘ দেখ কেউ করিসনে ভয়, আড়ালে তার সূর্য হাসে’। পাশাপাশি দুর্যোগেও ঘরে থেকে নতুন নতুন সৃষ্টির মধ্য দিয়ে মানুষের পাশে থাকতে পরামর্শ দেন।দেশের চলমান দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে গানবাংলা এবং ওয়ান মোর জিরো কমিউনিকেশন্সের এমন সহযোগিতার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রসঙ্গত, করোনাভা’ইরাসের কারণে সৃষ্ট এ দুর্যোগে শুরু থেকেই ভূমিকা রেখে আসছে গানবাংলা পরিবার। দুর্যোগের শুরুতেই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে এক হাজার পরিবারকে সহযোগিতা প্রদান করে তারা।এছাড়াও গত ২৬ মার্চ থেকে ইউএনডিপির ‘স্টে হোম চ্যালেঞ্জ’ এর পাশে দাঁড়িয়ে ১৬ দিনব্যাপী দেশ-বিদেশের ১৩০ শিল্পীর অংশগ্রহণে গান-কথায় সামাজিক সচেতনতা তৈরি ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ‘মিউজিক ফর পিস-এফ বি লাইভ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তারা। যার সাথে প্রতিদিন সংযুক্ত ছিলেন প্রায় দেড় কোটি মানুষ।