প্রধানমন্ত্রীর প্রায় সব সফরসঙ্গীই নিজ খরচে নিউইয়র্কে গেছে : তথ্যমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি বিশেষ আমন্ত্রণে জাতিসংঘ এবং বিশ্ব নেতাদের পরিদর্শন করেছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী। হাসান মাহমুদ।
ড. হাসান বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে জাতিসংঘ এবং বিশ্ব নেতারা বিশেষ আমন্ত্রণে জাতিসংঘে নিয়ে গেছেন। প্রধানমন্ত্রীর বৈশ্বিক ভূমিকা, যেভাবে তিনি বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, যেভাবে তিনি করোনায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রেখে দেশকে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধির হারে নিয়ে গেছেন, এই বিশ্বনেতারা তার কাছ থেকে শুনতে চান।
শনিবার বিকেলে ঢাকায় তার সরকারি বাসভবন থেকে সিরাজগঞ্জে এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হওয়ার পর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণ সম্পর্কে বিএনপির সাম্প্রতিক মন্তব্যের বিষয়ে মন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন। ।
২৪ সেপ্টেম্বর নয়া পল্টনে এক অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও মুখপাত্র রুহুল কবির রিজভী করোনাভাইরাস মহামারীর সময়ে জাতিসংঘ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরের সমালোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী কেন ১৪১ জনকে নিয়ে ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কি হয়ে নিউইয়র্কে গেলেন তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি নেতা। সেদিন তিনি বলেছিলেন, “আপনি (প্রধানমন্ত্রী) ১৪১ আত্মীয় এবং দলের সদস্যদের নিয়ে প্রথমে ফিনল্যান্ডে যান, তারপর নিউইয়র্কে। ফিনল্যান্ডে আপনার কাজ কী ছিল? এত গুরুত্বপূর্ণ ছিল যে আপনি একটি পুরো প্লেন চার্টার করে সেখানে পৌঁছেছিলেন। মানুষ খাবারের জন্য কাঁদছেন এবং প্রধানমন্ত্রী, আপনি ১৪১ জনকে নিউ ইয়র্কে নিয়ে যাচ্ছেন।
রিজভী এসব বক্তব্যের বিষয়ে বলেন। হাছান মাহমুদ বলেন, দেশের উন্নয়নে বিএনপি বিশ্বনেতাদের প্রশংসা সহ্য করছে না। জনাব রিজভী আহমেদের জানা উচিত ছিল যে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীদের অধিকাংশই তাদের নিজস্ব খরচে গিয়েছিলেন, অথবা তিনি না জানার ভান করছেন।
এর আগে সম্মেলনে বক্তৃতাকালে মন্ত্রী বলেন, তাদের একজন যেভাবে কথা বলছিলেন, বিএনপির ধারাবাহিক বৈঠকের ফলাফল শূন্য বলে মনে হচ্ছে। বিচ্ছিন্ন বিএনপি কোনো ধারাবাহিক বৈঠক থেকে কোনো দিকনির্দেশনা না পেলেও তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।