সাধারণ ছুটি বাড়ানো হবে, জানালেন প্রধানমন্ত্রী – জেনে নিন কতদিন !!
প্রা’ণঘা’তী করোনা ভা’ইরাসের (কভিড-১৯) বিস্তার নিয়ন্ত্রণে চলমান সাধারণ ছুটি আগামী ১৫ মে পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চলমান করোনা ভা’ইরাস পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার (৪ মে) রংপুর বিভাগের আট জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করে আমাদের এগিয়ে যেতে হচ্ছে। জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হচ্ছে। আমরা সাধারণ ছুটি ঘোষণাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। তিনি বলেন, সাধারণ ছুটি আগামী ১৫ মে পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে রোজার কারণে ইফতার-সাহরির সুবিধার্থে কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কিছু ক্ষুদ্র শিল্পকারখানাও চালু করা হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে অর্থনীতির চাকাও সচল করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা সীমিত আকারে বিভিন্ন অফিস খুলে দিয়েছি। মানুষ যাতে রমজানের কেনাকাটা করতে পারে সে জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে বড় ধরনের জনসমাগম যাতে না হয়। এতে করোনাভা’ইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। বড় ধরনের জনসমাগম করা যাবে না। শেখ হাসিনা বলেন, গোটা বিশ্ব এক অদৃশ্য শত্রুর মোকাবিলা করছে। করোনাভা’ইরাসে দেশের অর্থনীতি থমকে দাঁড়িয়েছে। এর প্রভাব পড়বে আগামীতেও। বৈশ্বিক সংস্থাগুলো এটাকে অর্থনৈতিক মহামারি হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। তিনি বলেন, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ একটা আঘাত আসলো। এর মোকাবিলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে। অ’স্ত্র ও সম্পদে শক্তিশালী দেশগুলোকে করোনাভা’ইরাস ব্যর্থ করে দিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আল্লাহ রাব্বুল আলআমিনের কী খেলা! ধন-সম্পদ-অ’স্ত্র কিছুই কাজে লাগছে না।’ তিনি বলেন, এ অবস্থা মোকাবিলা করে আমাদের এগিয়ে যেতে হচ্ছে। জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হচ্ছে। আমরা সাধারণ ছুটিসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি।
এর আগে শেখ হাসিনা করোনাভা’ইরাস পরিস্থিতি নিয়ে ছয় দফা পৃথক ভিডিও কনফারেন্সে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট, রাজশাহী, বরিশাল এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ৫৬টি জেলার সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী জনগণকে স্বাস্থ্যবিধিসমূহ মেনে চলার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি সংকট উত্তরণের জন্য বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজেরও ঘোষণা দেন। দেশে মার্চ মাসের ৮ তারিখ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এখন পর্যন্ত এই ভা’ইরাসে আটক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ১৭৭ জন এবং আটক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৪৫৫ জন।