হাসপাতাল থেকে পালিয়ে দুইদিন অবাধে ঘুরলেন করোনা রোগী, এরপর…
যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে পালিয়ে যাওয়া এক বৃদ্ধার করোনাভা’ইরাস শনাক্ত হয়েছে। আ’ক্রান্ত ওই বৃদ্ধা উপজেলার বাসুয়াড়ি ইউনিয়নের চাড়াভিটা এলাকার পাকেরআলী গ্রামের বাসিন্দা। উপজেলা আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. কোশিক আশরাফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শনিবার (১৩ জুন) দুপুরে তার বাড়িসহ আশপাশের ২০ বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
বাঘারপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া আফরোজ উপস্থিত থেকে এসব বাড়ি লকডাউন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শরিফুল ইসলাম, ওসি (তদন্ত) রাসেল হোসেন ও ডা. শাহআলম প্রমুখ।
বাঘারপাড়া হাসপাতাল সূত্র জানায়, ৯ জুন সকালে ওই বৃদ্ধা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দিচ্ছিলেন। ১১ জুন সকালে কর্তব্যরত চিকিৎসক বৃদ্ধার নমুনা সংগ্রহ করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ল্যাবে পাঠান। নমুনা পরীক্ষায় ১২ জুন রাতে তার ফলাফল পজিটিভ আসে। তবে আ’ক্রান্ত ওই বৃদ্ধা নমুনা দিয়েই ওই দিন রাতেই হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আ’ক্রান্ত ওই বৃদ্ধা ও তার পরিবারের লোকজন অবাধে ঘোরাঘুরি করেছেন। তার স্বামী ইজিবাইক চালক। তিনিও বিভিন্ন এলাকা দিয়ে ইজিবাইক চালিয়েছেন। এমনকি শনিবার সকালে আ’ক্রান্ত ওই বৃদ্ধাকে যশোরের ঝর্ণা ক্লিনিকেও ডাক্তার দেখাতে নিয়ে গেছেন তার পুত্রবধূ। সেখান থেকে দুপুরে বাড়িতে ফেরেন তারা।
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শরিফুল ইসলাম বলেন, আ’ক্রান্ত ওই বৃদ্ধাকে বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা দেয়া হবে। তবে কার সংস্পর্শে ও তিনি কোথায় কোথায় ঘুরেছেন খোঁজ নেয়া হচ্ছে। ঝর্ণা ক্লিনিকের মালিককে এ বিষয়ে বলা হয়েছে।বাঘারপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া আফরোজ বলেন, আ’ক্রান্ত বৃদ্ধার বাড়ি পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তবে বৃদ্ধা পালিয়ে যাওয়ায় বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।