সেনাবাহিনীকে বাঁচাতে রোহিঙ্গাদের ওপর দায় চাপাচ্ছে সুচি !!
মিয়ানমারের পাশে চীন, রাশিয়া ও ভারত থাকলেও আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের রায়ে দেশগুলো কোন প্রভাব ফেলতে পারবে না। পাশাপাশি রাখাইনে সংঘটিত গণহত্যার রায় রোহিঙ্গাদের পক্ষে যাবে এমনটাই বিশ্বাস কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া লাখ লাখ রোহিঙ্গার। তাদের অভিযোগ, রোহিঙ্গা নিধনের উদ্দেশ্যে মিয়ানমার সরকারই বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী-আরসা সৃষ্টি করেছে। যার মাধ্যমে এখন সূচি মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে বাঁচাতে রোহিঙ্গাদের উপর দায় চাপাচ্ছে।
এদিকে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয় শিবিরে বসবাস ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গার। যারা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর চালানো হত্যা, ধর্ষণ, আগুনে পুড়িয়ে মারা নির্যাতন সইতে না পেরে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে আসে বাংলাদেশে।
এদিকে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে, গাম্বিয়ার এমন মামলার প্রেক্ষিতে শুনানি হয়েছে তিনদিন ধরে নেদারল্যান্ডসের হেগে আন্তর্জাতিক আদালতে। যা কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রীতিমত আলোড়ন সৃষ্টি করে। রোহিঙ্গাদের বিশ্বাস, পর্যাপ্ত প্রমাণ থাকায় আন্তর্জাতিক আদালতে রায় তাদের পক্ষেই যাবে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ষাটোর্ধ এক রোহিঙ্গা বলেন, ‘তারা আরসাদের ধরার জন্য অভিযান চালানো সময় আমাদের মেয়েদেরকে ধর্ষণ করেছে। সেই সাথে নির্বিচারে গুলি করে মানুষ হত্যা করেছে।’
তাছাড়া চীন, রাশিয়া ও ভারত, মিয়ানমারের পাশে থাকলেও আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে রায়ে এর কোন প্রভাব পড়বে না বলে আশাবাদ জানিয়েছেন আরকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস্ অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস্-এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মুহিব উল্লাহ। তিনি বলেন, ‘এ দেশগুলো পাশে না থাকলেও আমরা প্রমাণাদি তুলে ধরেছি আর্ন্তজাতিক আদালতে। বিচারের রায় আমাদের পক্ষেই এসেছে।’
তাছাড়া আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধান হবে বলে জানান কক্সবাজার উখিয়ার কুতুপালং ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘এখানে রোহিঙ্গারা বসতি স্থাপন করেছেন। এটা আমাদের জন্য বোঝা। আন্তর্জাতিক বিচারের মাধ্যমে এটার একটা সুষ্ঠু সমাধান হবে।’