দেশের খবর

অবশেষে চালু হচ্ছে ই-পাসপোর্ট !!

অবশেষে দেশে চালু হতে যাচ্ছে ই-পাসপোর্ট সেবা। চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে ই-পাসপোর্ট সেবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জানা যায়, ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ই-পাসপোর্ট তৈরির কাজ শুরু হয়। জার্মানির সরকারি ভেরিডোজ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বহিগর্মন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী, জার্মান কোম্পানি ৩০ লাখ ই-পাসপোর্ট বই সরবরাহ করবে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ই-পাসপোর্ট সেবার সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ই-পাসপোর্ট সেবার উদ্বোধন করবেন। সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ ডিসেম্বর। এই দিন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় সংসদের স্পিকারের হাতে প্রথম ই-পাসপোর্ট দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে চার হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা। এ পাসপোর্ট চালুর জন্য জার্মানির সরকারি প্রতিষ্ঠান ভেরিডোজের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে অনেক আগেই। তাদের কারিগরি সহযোগিতায় ই-পাসপোর্ট চালু হতে যাচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ঢাকার আগারগাঁও, যাত্রাবাড়ী, উত্তরা ও সেনানিবাস—এই চারটি অফিস থেকে ই-পাসপোর্টের সুবিধা পাবেন পাসপোর্ট গ্রহীতারা। পর্যায়ক্রমে এটির কার্যক্রম ঢাকার বাইরে আঞ্চলিক অফিসগুলোতে চালু হবে। এছাড়া বিদেশে বাংলাদেশের প্রায় ৭০টি মিশনেও ই-পাসপোর্ট পর্যায়ক্রমে চালু হবে। দুই ক্যাটাগরির ই-পাসপোর্ট চার ধরনের ফি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে জরুরি ও অতি জরুরি। মেয়াদ পাঁচ ও ১০ বছর।

জানা গেছে, ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা জন্ম নিবন্ধন সনদ (বিআরসি) অনুযায়ী। অপ্রাপ্তবয়স্ক (১৮ বছরের কম) আবেদনকারী, যার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেই, তার মা-বাবার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।

ই-পাসপোর্টের মেয়াদ হবে পাঁচ ও ১০ বছর। পাসপোর্টের পৃষ্ঠাসংখ্যাও হবে দুই ধরনের, ৪৮ ও ৬৪ পৃষ্ঠা। নতুন আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট বিতরণের পদ্ধতি তিন ধরনের—সাধারণ, জরুরি ও অতি জরুরি। ই-পাসপোর্টের পৃষ্ঠাসংখ্যা, মেয়াদকাল, বিতরণের ধরন অনুসারে ভ্যাট ছাড়া সর্বনিম্ন ফি তিন হাজার ৫০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ফি ১২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে পাসপোর্টের জরুরি ফি ভ্যাটসহ তিন হাজার ৪৫০ টাকা এবং অতি জরুরি ফি ভ্যাটসহ ছয় হাজার ৯০০ টাকা।

বাংলাদেশে আবেদনকারীদের জন্য ৪৮ পৃষ্ঠার পাঁচ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি তিন হাজার ৫০০ টাকা, জরুরি ফি পাঁচ হাজার ৫০০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি সাত হাজার ৫০০ টাকা এবং ১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি পাঁচ হাজার টাকা, জরুরি ফি সাত হাজার টাকা ও অতীব জরুরি ফি ৯ হাজার টাকা। এ ছাড়া ৬৪ পৃষ্ঠার পাঁচ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি পাঁচ হাজার ৫০০ টাকা, জরুরি ফি সাত হাজার ৫০০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ১০ হাজার ৫০০ টাকা এবং ১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি সাত হাজার টাকা, জরুরি ফি ৯ হাজার টাকা ও অতীব জরুরি ফি ১২ হাজার টাকা।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেন, চলতি ডিসেম্বর মাস থেকে ই-পাসপোর্ট চালু করা হচ্ছে। পাসপোর্টের মেয়াদ থাকবে ১০ বছর। উল্লেখ্য, ই-পাসপোর্ট এক ধরনের বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট, যাতে পাসপোর্টের ডাটা পেজ-এ মুদ্রিত তথ্য সমন্বিত একটি চিপ সংযুক্ত থাকে। কোনো কোনো দেশের ই-পাসপোর্টে দুটি ফিঙ্গার প্রিন্ট সংযুক্ত হয়।

J A Suhag

Local News: J A Suhag writes Local News articles for industries that want to see their Google search rankings surge. His articles have appeared in a number of sites. His articles focus on enlightening with informative Services sector needs. he holds the degree of Masters in Business and Marketing. Before he started writing, he experimented with various professions: computer programming, assistant marker, Digital marketing, and others. But his favorite job is writing that he is now doing full-time. Address: 44/8 - North Dhanmondi, Dhaka Email: [email protected]

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button