খুতবার আজান নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে মুসল্লি নিহত: যুবলীগ নেতা গ্রেফতার

কুমিল্লার বাঙ্গারার মুরাদনগরের কুরাখালে শুক্রবারের খুতবার আজানকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের কারণে গ্রামে পরিস্থিতি এখনও উত্তাল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কুড়াখাল গ্রামের বাইতুন নূর জামে মসজিদ সংঘর্ষের পর তালাবদ্ধ করা হয়েছে।

বাঙ্গড়া বাজার থানা যুবলীগের পূজারীদের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায়। শাহিন ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পলাতক হলেন মসজিদের খতিব মাওলানা কামরুজ্জামান রেজবি।

কুরাখাল গ্রামের আবদু খানের ছেলে আবু হানিফ খান (৩৬) শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের সময় মসজিদের ভিতরে জোরে ও আস্তে আওয়াজের জন্য রেজভি এবং সুন্নি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আবু হানিফ খান নিহত হন। ওই সময় হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার ছাত্র, শিক্ষক ও সাধারণ মুসল্লিরা গুরুতর আহত হন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মসজিদে রিজভী ও সুন্নী সমর্থকদের মধ্যে বিভিন্ন ফতোয়া জারি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। শুক্রবার বিকেলে জুমার নামাজের আগে নামাজের আজান নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে তর্ক শুরু হয়। একপর্যায়ে বাঙলা বাজার থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কালাম এবং যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শাহিন ভূঁইয়া সহ একদল যুবক অস্ত্র নিয়ে সুন্নি সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। মুসাল্লি আবু হানিফ খানকে ছুরিকাঘাতে ঘটনাস্থলেই একজন মারা যান। গফুর সরকারের ছেলে আবুল খায়ের (৪৮) এবং একই গ্রামের মোতালেব খানের ছেলে ইমন খান (২৪) গুরুতর আহত হন। পরে আহতদের উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

বাংরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো। কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, হানিফের স্ত্রীর মামলায় বাংরা বাজার থানায় যুবলীগ সদস্য মো শাহীনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কুরাখাল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের আশপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে মসজিদটি তালাবদ্ধ থাকলেও নামাজ ও আজানের সময় তা খোলা হচ্ছে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *