চাঁদপুরে বেগুনি রঙের ধান নিয়ে ব্যাপক আলোড়ন !!

ধান গাছের কথা মনে হলেই চোখের সামনে ভেসে উঠে চারদিকে সবুজের সমারোহ। তবে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের শাহাপুর গ্রামের সোনালী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশের জমিতে সবুজ ধান ক্ষেতের মাঝে মিলেছে বেগুনি রঙের ধানের আবাদ। যেটি দেখে মানুষের চোখ জুড়িয়ে যাচ্ছে। আর এ অদ্ভুত ধানের খবর পেয়ে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে যাচ্ছেন শতশত মানুষ।

২৫ শতাংশ জমিতে বেগুনি রঙের ধান আবাদ করেছেন কৃষক আক্তারুজ্জামান পাটওয়ারী। তিনি বলেন, এক আত্মীয়ের কাছ থেকে সংগ্রহ করা দুই কেজি বেগুনি রঙের বীজ থেকে চারা উৎপাদন করি। এরপর ২৫ শতাংশ জমিতে এ জাতের ধানের আবাদ করা হয়। এখন ধানক্ষেতের অবস্থা ভালো রয়েছে। ধানের গাছ থেকে ছড়া বের হতে শুরু করেছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে ফলন ভালো হবে।

তিনি আরো বলেন, চারদিকে সবুজ ধান ক্ষেতের মাঝে এক টুকরো বেগুনি রঙের ধান গাছ দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষেরা ছুটে আসছেন। সবুজ ধানের বেষ্টনীর মধ্যে বেগুনি ধান ক্ষেতটি আগাছা বা রোগে আক্রান্ত মনে হতে পারে। এটি একটি ধানের জাত। যার পাতা ও কাণ্ডের রঙ বেগুনি। শুধু ধান গাছ নয়, চালের রঙ হবে বেগুনি। তাই আমাদের কাছে ধানের এ জাত বেগুনি রঙের ধান বা রঙিন ধান হিসেবে পরিচিত। এ ধানের জাতটি চীন থেকে এক আত্মীয় এনেছেন বলে শুনেছি

এদিকে ফরিদগঞ্জ কৃষি অফিসের তথ্যানুযায়ী, এটি কোন বিদেশি জাত নয়। এটি দেশীয় শুক্রাণু প্রাণরস (জার্মপাজম) থেকে উৎপাদিত। মাঠ বিবেচনায় ধানটি ১৪৫ থেকে ১৫৫ দিন থাকে। এছাড়া প্রতি একরে ৫৫ থেকে ৬০ মণ ফলন হয়। যা প্রতি হেক্টরে চার থেকে পাঁচ টন ধান উৎপাদন সম্ভব। এ ধানের চাল অত্যন্ত সুস্বাদু।

ফরিদগঞ্জের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. নূরে আলম জানান, কৃষক কামরুজ্জামান নিজ উদ্যোগে বীজ সংগ্রহ করে রঙিন ধান আবাদ করেছেন। তার ধানক্ষেতটি পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি। ক্ষেতের ফলন জানতে হলে ধান কাটা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ফলন ভালো হলেই এ জাতের ধানের আবাদ বাড়ানো হবে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *