চুরির অভিযোগ করতে এসে গৃহকর্মীকে দিতে হলো ৭ বছরের বেতন !!

গৃহকর্মীর বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ করতে থানায় গিয়ে উল্টো বকেয়া বেতন বাবদ পৌনে দুই লাখ টাকা দিতে হয়েছে ঢাকার এক গৃহকর্ত্রীকে। সৈয়দা ফেরদৌস আহমেদ নামের ওই নারী ধানমন্ডির ৯/এ সড়কের এক বাসায় থাকেন।

২১ বছর বয়সী গৃহকর্মী সুরমা বেগম মালিহার বিরুদ্ধে টাকা–পয়সা ও গহনা চুরির অভিযোগ নিয়ে গত ২০ মে ধানমন্ডি থানায় যায় সৈয়দা ফেরদৌস। পরে জানা যায় চুরির অভিযোগ মিথ্যা, উল্টো মালিহাকে বিনা বেতনে তিনি কাজ করিয়েছেন সাত বছর। পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার আবদুল্লাহিল কাফী বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সৈয়দা ফেরদৌস থানায় গিয়ে অভিযোগ করার পর মালিহা পুলিশকে বলেন, ওই বাসা থেকে কিছু চুরি করেননি তিনি। গৃহকর্ত্রীর অত্যাচারের কারণে বাসা ছেড়ে তিনি চলে যান। খতিয়ে দেখতে পুলিশ ওই বাসার সিসি ক্যামেরার ভিডিও সংগ্রহ করে নিশ্চিত হয়, মালিহা বেরিয়ে গিয়েছিলেন এক কাপড়ে, তার সঙ্গে কিছু ছিল না। এমনকি বের হবার সময় ভবনের দারোয়ানকে চলে যাওয়ার কথাটি জানিয়ে যান।

পুলিশ জানায়, মালিহার গ্রামের বাড়ি ভোলার চরফ্যাশনে। ২০১৩ সালের জুলাই মাস থেকে তিনি ওই বাসায় কাজ করছিলেন। এই সাত বছরে গৃহকর্ত্রী খাবার আর পরনের কাপড় ছাড়া কোন বেতন দেননি।মালিহা পুলিশকে জানায়, ১৯ মে রাত ৮টার দিকে রাগ করে তিনি ধানমন্ডির ওই বাসায় থেকে বের হয়ে যান। সেদিন তার রাত কাটে এক হাসপাতালের বারান্দায়। পরদিন সেখানে এক নারীকে সব খুলে বললে তিনি মালিহাকে তার বাসায় নিয়ে যান।

পরে পুলিশের মধ্যস্থতায় সৈয়দা ফেরদৌস আহমেদ ৭ বছরের বেতন বাবদ এক লাখ ৮২ হাজার টাকা দিতে রাজি হন। মালিহার অভিভাবক কেউ ঢাকায় থাকতেন না। পরে তার মা হোসেন আরা বেগম এবং তার সৎ বাবা মোসলেমের খোঁজ পাওয়া যায়। তারা থানায় এলে ২৩ মে ৯২ হাজার টাকার চেক এবং ৭ জুন ৯০ হাজার টাকা চেক বুঝিয়ে দেয়া হয়।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *