চেয়ারম্যান সরকারি ঘর দেওয়ার কথা বলে ৪০ হাজার টাকা নেয়, অসহায় মর্জিনা বেগমের অভিযোগ

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার ২নং কাতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজির হোসেনের বিরুদ্ধে সরকারি বাড়ি দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগ, চেয়ারম্যান নাজির হোসেন সাত দিনের মধ্যে বাড়ি দেবেন বলে টাকা নেন। এনজিও থেকে কিস্তি আর ধারদেনা করে এই টাকা জোগাড় করেন মরজিনা বেগম। এখন সে তার পাওনা পরিশোধ করতে হিমশিম খাচ্ছে। অসহায় ও দরিদ্র মর্জিনা বেগম অভিযোগ করেন, ৪০ হাজার টাকা দিয়েও তিনি বাড়ি পাননি।

দুই নম্বর কাতলা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ভুক্তভোগী মর্জিনা বেগমের সঙ্গে কথা বলছিলেন। তিনি জানান, বাড়ি ইউনিয়নের উত্তর কাটলা গ্রামে। আমি একজন গরীব মানুষ। এমনকি আমার স্বামীর কাছ থেকেও নয়। তিনি আমাকে ছেড়ে অন্যকে বিয়ে করেন। আমি অনেক চেষ্টা করে ৩ টি বাচ্চা বড় করছি। আমার বাড়ি না থাকায় বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান নাজির হোসেন আমাকে একটি সরকারি বাড়ি দিতে চান। বিনিময়ে তিনি ৪০ হাজার টাকা দাবি করেন।

পরে আমি চেয়ারম্যানের শ্যালিকা (বোনের ভাই) শহিদুলকে ৪০,০০০ টাকা দিয়েছি। সাত দিন পর চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, কাগজপত্র উপরের দিকে পাঠানো হয়েছে। টেমাকে (মর্জিনা) কিছুদিনের মধ্যে একটি বাড়ি দেওয়া হবে। এখন প্রায় তিন বছর হয়ে গেছে, কিন্তু আজ পর্যন্ত চেয়ারম্যান আমাকে থাকার জায়গা দেননি। আমি আর কত, বেচারা, একটা বাড়ির জন্য কষ্ট পাব?

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *