জেনে নিন যেভাবে বিকেএসপিতে খেলোয়াড়দের ভর্তি করা হয় !!

বাংলাদেশ ক্রিড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) নিশ্চিতরূপেই দেশের ক্রীড়া শিক্ষার আঁতুড় ঘর। নবীণ একজন অ্যাথলিটের কাছে বহু আরাধনার স্থান। বিকেএসপিতে ভর্তির মানেই যেন নিশ্চিত এক ভবিষ্যত। দেশের ক্রীড়াঙ্গণের এক স্বপ্নীল প্রতিষ্ঠান বিকেএসপি। বিকেএসপির ভর্তি প্রক্রিয়ায় বজায় রাখা হয় শতভাগ স্বচ্ছতা। যেখানে শুধু সুযোগ পায় প্রতিভাবানরাই এমনটাই জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

অন্যসব প্রতিষ্ঠানের চেয়ে ব্যতিক্রম বিকেএসপির ভর্তি প্রক্রিয়াও। যেখানে শারীরিক যোগ্যতার পাশাপাশি বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয় স্ব স্ব বিষয়ের টেকনিক ও ট্যাকটিসের ওপর। থাকে গেমস পর্যবেক্ষণ। আর এই তিন বিষয়ে নম্বর থাকে ৭০। লিখিত পরীক্ষায় ২০ এবং ক্রীড়া বিজ্ঞানে ১০, মোট ১০০ নম্বরে হয় পরীক্ষা।

বিকেএসপি প্রশিক্ষক মাসুদ হাসান বলেন, খেলাধুলায় পারদর্শী যে কেউ এখানে ভর্তি হতে পারবে। এটা সেরাদের জায়গা। কোনো প্রকার অনিয়ম করে এখানে ভর্তির সুযোগ নেই। ভর্তির প্রতিটি বিষয়ে কঠোর তদারকি করে কর্তৃপক্ষ। ফলে বাছাই হয় সঠিক অ্যাথলিট, আসে সাফল্য।

সাভারের বিকেএসপির মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ছয় শ’। যেখানে আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে গড়ে প্রতিবছর ভর্তি করা হয় ১২০ থেকে দেড় শ’ শিক্ষার্থী।নারী আর পুরুষ, প্রতিবছর ডিসেম্বরে আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ। মোট ১৮টি ক্যাটাগরিতে জানুয়ারিতে হয় ভর্তি প্রক্রিয়া। ৪র্থ আর ৭ম শ্রেণিতে যথাক্রমে ভর্তি করা হয় ৫ ও ৭ বিষয়ে। যৌথ শ্রেণিতে ভর্তি করা হয় ৬টি বিভাগে।

যেহেতু প্রতি বছর ডিসেম্বরে শুরু হয় ভর্তি প্রক্রিয়া, তিনটি ধাপে চলে পুরো জানুয়ারি জুড়ে। এখন চলছে ফেব্রুয়ারি। বিধায় আগত ডিসেম্বরকে টার্গেট করে ভর্তির জন্য প্রস্তুতি নিতে পারেন।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *