|

জেনে নিন, যে কারণে ঘূর্ণিঝড়ের নাম হল ‘আম্ফান’ !!

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘আমফান’। মঙ্গলবার (১৯ মে) মধ্যরাতে থেকে বুধবার বিকেল কিংবা সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে এটি। ঝড়টির উৎপত্তি এখন হলেও এর নামকরণ হয়েছিল ১৬ বছর আগে।

২০০৪ সালে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার সভায় আরব সাগর এবং বঙ্গোপসাগরের সাইক্লোনের নামকরণ নিয়ে যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয় সে সময়ই আম্ফান নাম তালিকায় যুক্ত হয়। মূলত ওই সময় থেকেই এ অঞ্চলের ঝড়গুলোর নির্দিষ্ট নাম দেয়া শুরু হয়। তার আগে বিভিন্ন দেশ নিজেদের মতো করে আলাদা নামে ঝড়গুলোকে আখ্যায়িত করতো।তবে দেশের আবহাওয়া অধিদফতর ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেয়া চূড়ান্তভাবে শুরু করে ২০০৭ সালে। ওই বছরের নভেম্বরে আঘাত হানা প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ের নাম রাখা হয় ‘সিডর’।

সিডরের পর একে একে তাণ্ডব চালানো ঝড়গুলোর নামকরণ করা হয়- আইলা, মহাসেন, রোয়ানু, মোরা, নার্গিস, ফণী ও বুলবুল ইত্যাদি। সেই ধারাবাহিকতায় এবার আসলো আম্ফান।এবারের নামটি দিয়েছে থাইল্যান্ড। থাই ভাষায় ‘আমফান’ অর্থ স্বাধীন চিত্ত, শক্তি, দৃঢ়তা।

জানা যায়, ২০০৪ সালে ওয়ার্ল্ড মিটিওরোলজিকাল অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএমও) এবং ইউনাইটেড নেশনস ইকোনমিক এন্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া এন্ড প্যাসিফিক (এসক্যাপ)- এর অধীনস্থ আটটি দেশ- ভারত, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, এবং থাইল্যান্ড সিদ্ধান্ত নেয় যে এই অঞ্চলের সাইক্লোনের নামকরণ করবে তারা। প্রতিটি দেশ তাদের নামের তালিকা পাঠানোর পর তা চূড়ান্ত করে একটি ডব্লিউএমও এবং এসক্যাপ প্যানেল, যার পোশাকি নাম প্যানেল অন ট্রপিক্যাল সাইক্লোনস (পিটিসি)।

২০১৮ সালে ডব্লিউএমও এবং এসক্যাপে প্রবেশ করে আরও পাঁচটি দেশ- ইরান, কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইয়েমেন।গতমাসে ১৬৯টি নামের একটি তালিকা প্রকাশ করে আইএমডি। ১৩টি দেশ থেকে ১৩টি করে নাম চূড়ান্ত করা হয়। নতুন তালিকায় ঢোকানো হয় পূর্ববর্তী তালিকার একটিমাত্র নাম– আম্ফান। কারণ নতুন তালিকা প্রকাশের সময় পর্যন্ত অব্যবহৃত ছিল সেটি।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *