ডিউটিতে হিজাব পরার অনুমতি পেলেন সেই নারী পুলিশ !!

হিজাব পরে ডিউটি করেছিলেন ত্রিনিদাদ-টোবাগো প্রজাতন্ত্রের এক মুসলিম নারী পুলিশ। এতে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের রোষানলে পড়েছেন কয়েকবার।

নানারকম প্রতিবন্ধতাসহ ইউনিফর্ম আইন লঙ্ঘের অভিযোগে অভিযুক্ত হন তিনি। তবুও ধর্মীয় বিষয়কে সর্বাগ্রে স্থান দিয়ে আদালতের দারস্থ হন তিনি।অবশেষে আদালতে আইনি লড়াই করে হিজাব পরিধানের অনুমতি পেয়েছেন সেই নারী পুলিশ।

ত্রিনিদাদ-টোবাগোর পুলিশ রিজার্ভ বাহিনীর সদস্য ওই নারীর নাম শ্যারন রূপ। ২০০৯ সালে শ্যারন পুলিশে যোগ দেন এবং ২০১৪ সাল থেকে নিয়মিত হিজাব ব্যবহার শুরু করেন তিনি।

আর্ন্তজাতিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, দীর্ঘ শুনানির পর আদালত হিজাব পরিধানের বিষয়ে ওই নারী পুলিশের পক্ষে রায় দিয়েছেন। পাশাপাশি বৈষম্যমূলক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ব্যক্তির ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ায় তাকে ১ লাখ ৮৫ হাজার ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে পুলিশ বাহিনীকে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, দক্ষিণ ক্যারিবিয়ান সাগরের দেশ ত্রিনিদাদ-টোবাগোতে ইসলামের প্রসার নজরে পড়ার মতো। দেশটির মোট জনসংখ্যা ১৩ লাখের মধ্যে ৫ শতাংশ মুসলমান। এ অনুপাত ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ছোট্ট এই দেশটিতে ১৩২টি মসজিদ রয়েছে। সেখানে মুসলমানরা স্বাধীনভাবে নামাজ আদায় থেকে শুরু করে ধর্মীয় সব রীতিই নির্বিঘ্নে পালন করতে পারে। ঈদ উপলক্ষে ত্রিনিদাদে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়।

জানা গেঝে, দারুল উলুম দেওবন্দের অনুকরণে ত্রিনিদাদে একটি মাদ্রাসা রয়েছে। মুফতি সাবিল আলীর প্রতিষ্ঠিত সেই মাদ্রাসায় দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) পর্যন্ত মানসম্মত শিক্ষাদানের ব্যবস্থা রয়েছে। এর সঙ্গে একটি ফতোয়া বিভাগও রয়েছে।

শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজ নয়, পুরো ল্যাটিন আমেরিকার সবচেয়ে বড় ইসলাম ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এটি। বর্তমানে সেখানে প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *