ডেসটিনির ৩৫ লাখ গাছ খেয়ে ফেলেছে ছাগল !!

এবার ডেসটিনির ৩৫ লাখ গাছ ছাগলে খেয়ে গেছে বলে আদালতকে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবী। ডেসটিনির ৩৫ লাখ গাছ বিক্রি করে ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা পরিশোধের শর্ত না মেনে পুনরায় ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমিন ও ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনের জামিন শুনানিতে তিনি এ কথা জানান। এ সময় ডেসটিনির আইনজীবী বলেন, ‘ডেসটিনির গাছ ছাগলে খেয়ে গেছে!’

এ সময় প্রধান বিচারপতি ডেসটিনির আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘ছাগলে কত গাছ খেতে পারে?’ তখন আপিল আদালতে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়। তবে প্রধান বিচারপতির প্রশ্নের কোনও সদুত্তর করতে পারেননি ডেসটিনির এমডি ও পরিচালকের আইনজীবী। পরে এ মামলার আদেশের জন্য আগামী মঙ্গলবার দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ। এ সময় আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান।

এর আগে গত ২০১৬ সালের ২০ জুলাই শর্তসাপেক্ষে রফিকুল আমিন ও মোহাম্মদ হোসেনকে জামিন দেন হাইকোর্ট। পরে দুদক আপিল করলে হাইকোর্টের জামিন আদেশ স্থগিত করে দেন আপিল বিভাগ। এ আবেদনের শুনানির একপর্যায়ে আত্মসাৎ করা টাকা জমা দেওয়ার কথা বলেন সর্বোচ্চ আদালত।

সে অনুসারে ২০১৬ সালের ১৩ নভেম্বর ডেসটিনির পক্ষ থেকে গাছ বিক্রি করে টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেন আপিল আদালত। ওইদিন হলফনামা দিয়ে আদালতকে জানানো হয় যে, তাদের কাছে ৩৫ লাখ গাছ আছে। প্রতিটি গাছ আট হাজার টাকায় বিক্রি করে ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা দিতে পারবেন তারা।

এরপর ওই শর্ত সংশোধন চেয়ে তারা ২০১৭ সালে আপিল বিভাগে আবেদন করেন। সে আবেদন ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর খারিজ হয়ে যায়। তবে শর্ত না মেনে পুনরায় তারা জামিন চেয়ে আবেদন করেন। ওই আবেদনের শুনানিতে আদালত শর্ত অনুসারে ডেসটিনির ৩৫ লাখ গাছ বিক্রি করে টাকা পরিশোধের বিষয়ে তাদের আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসির কাছে জানতে চান।

এর আগে গত ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রফিকুল আমিন ও মোহাম্মদ হোসেনসহ ডেসটিনি গ্রুপের ২২ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর কলাবাগান থানায় দুটি মামলা করে দুদক। ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ (এমএলএম) ও ট্রি-প্ল্যানটেশন প্রকল্পের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে সংগৃহীত অর্থের মধ্যে ৩ হাজার ২৮৫ কোটি ২৫ লাখ ৮৮ হাজার ৫২৪ টাকা আত্মসাৎ করে পাচারের অভিযোগে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা দুটি করা হয়। বর্তমানে এ মামলায় দুজনই কারাগারে রয়েছেন।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *