তীব্র শীতে রংপুরে ১৩ জনের মৃত্যু !!

বরাবরের মতই বাংলাদেশের উত্তর অঞ্চলে শীতের তীব্রতা সবসময়ই বেশি দেখা যায়। রংপুর বিভাগে ড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রকোপ। গত সোমবার পর্যন্ত দুই মাসে এ বিভাগে এ-সংক্রান্ত স্বাস্থ্য জটিলতায় আক্রান্ত হয়েছে ২১ হাজার ৫১৬ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। শীতে বিশেষ সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকদের।

শৈত্যপ্রবাহে নাকাল উত্তরাঞ্চলের জনগোষ্ঠী। হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত জনজীবন। প্রচণ্ড শীতে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি শিশু-বৃদ্ধসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ।

এদিকে শৈত্যপ্রবাহের কারণে বিভাগীয় নগরী রংপুরে সড়কগুলোতে যানবাহনের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বাসা থেকে তেমন একটা বের হচ্ছেন না। বড় বড় শপিংমল এবং মার্কেটগুলোতে ব্যবসায়ীদের খদ্দেরের অভাবে অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, এ হাসপাতালের তৃতীয় তলায় অবস্থিত ৯ নং শিশু ওয়ার্ডে শয্যা আছে ৪০টি। গতকাল এ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিল ৮৯ জন। ১০ নং শিশু ওয়ার্ডে ৪০ শয্যার বিপরীতে ভর্তি ছিল ৫৫ জন। নিবিড় পর্যবেক্ষণ (নবজাতক) কেন্দ্রে ৩৭টি শয্যার বিপরীতে ৩৯ জন নবজাতককে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এসব শিশুর অধিকাংশই ডায়ারিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত।

রমেক হাসপাতালের জুনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. মনিকা মজুমদার বলেন, পুরো হাসপাতালে বিশেষ করে শিশু ওয়ার্ডে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর চাপ বাড়ছে। তবে তারা সবাই সঠিক চিকিৎসা পেয়েছেন।

তিনি বলেন, শীতের প্রকোপ বৃদ্ধির পর প্রায় দুই মাসে এ হাসপাতালে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ঠাণ্ডাজনিত রোগ নিয়ে ভর্তি হলেও হূদযন্ত্রের সমস্যায় একজন, পুষ্টির অভাবসংক্রান্ত জটিলতায় একজন এবং নিউমোনিয়ায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।

তিনি বলেন, যেসব শিশু জন্মের পর ছয় মাস মায়ের বুকের দুধ খেয়েছে, তারা সহজে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হবে না। যদিও হয়, তাহলে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে। রোগ থেকে বাঁচাতে শীতকালে নবজাতকদের বিশেষ যত্ন নেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *