ভারতে নাগরিকত্ব আইনের সমালোচনায় আল্লামা শফী !!
ভারত সরকার প্রতিবেশী দেশগুলোতে অমুসলিম সংখ্যালঘুরা নিপীড়নের শিকার হচ্ছে বলে দাবি করে আসছে। বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের যারা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছেন, তাদের নাগরিকত্ব দেয়ার জন্য আইন পাশ করেছে। এ আইন মূলত মুসলমানদের একঘরে করে ভারতকে ‘হিন্দুকরণ’ করার ঘৃণ্য প্রয়াস। বৃহস্পতিবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর ও দারুল উলূম হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফী এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে আল্লামা আহমদ শফী বলেন, মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে মুসলমানদের উপর যেভাবে জুলুম নির্যাতন চালাচ্ছে তা রাষ্ট্রীয় নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। তাদের সরকারের বিরুদ্ধে মুসলমানদের পাশাপাশি যেভাবে সাধারণ জনগণ ফুঁসে উঠেছেন তা চরম অনাস্থা ও ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। ভারতের মুসলমান প্রচুর ধৈষর্যশীল। তবে একথা ভুলে গেলে চলবে না, মুসলমান ধৈর্যশীল তবে ভীরু নয়। মুসলমানগণ প্রতিরোধ গড়ে তুললে মোদির মসনদ তছনছ হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ভারতের দীর্ঘ ইতিহাস, ঐতিহ্য ও অবদানে মুসলমানদের নাম মিশে আছে। ভারতের ঐতিহাসিক প্রায় সব স্থাপত্য মুসলমানদের তৈরি। চাইলেই এসব মুছে দেয়া যায় না। ভারতীয় মুসলমানদের কাছে পুরো বিশ্ব ঋণী। বিজেপিসহ কট্টরপন্থী হিন্দু সংগঠনগুলো মুসলিম সম্প্রদায়ের উপর ধারাবাহিক যে নির্যাতন নিপীড়ন চালাচ্ছে তা করে ভারতকে মুসলিমশূন্য করা যাবে না। বরং এসব নির্যাতন নিপীড়ন মোদি ও হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর পতন ডেকে আনবে।
আল্লামা শফী বলেন, কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতা গ্রহণ করার পর থেকে ভারতীয় মুসলমানগণ চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিনাতিপাত করছেন। ভারতকে সাম্প্রদায়িক সহবস্থানের দেশ দাবি করা হলেও শুধু মুসলিম হবার কারনে অনেককে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। কাশ্মীরে মুসলমানদের হত্যা করা হচ্ছে, ধর্ষণ করা হচ্ছে। ইসলাম সবসময় মানবাধিকারের কথা বলে। শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার কথা বলে। মানবপ্রাচীর তৈরি করে মন্দির পাহারা দেয়ার নজির আমরা দেখিয়েছি। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে বসবাস করছেন। অথচ ভারতে এর উল্টো চিত্র আমরা দেখতে পাচ্ছি।
সূত্রঃ কালের কন্ঠ