মালয়েশিয়ায় জরুরি অবস্থার মধ্যে কি কি করা যাবেনা !!

দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়া কোভিড-১৯ প্রতিরোধে পূর্নাঙ্গ এমসিও ২.০ লকডাউন এর পাশাপাশি শর্তাধীন জরুরি অবস্থা জারি করেছে। মানুষকে ঘরে থাকার আহবান জানিয়ে কিছু নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। তবে দেশটিতে জরুরী অবস্থা জারি করা হলেও কোন কা;রফিউ জারি করা হয়নি। আজ ১৩ জানুয়ারি বুধবার মধ্যরাত থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত লকডাউন বহাল থাকবে।

ফলে এই অবস্থায় কি করা যাবে আর কি করা যাবে না তা নিয়ে অনেকেই দ্বিধা দ্ব;ন্ধে আছেন। বিশেষ করে বাংলাদেশী প্রবাসীরা আবারও কাজ হারিয়ে সং;কটে পড়বেন এবং গৃহবন্দী হতে যাচ্ছেন। সব মিলিয়ে তারা এখন চরম আ;তং’কে।বুধবার ( ১৩ জানুয়ারি) মালয়েশিয়ার শিক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ রাদজী মোঃ জিদিন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী আজমিন আলী এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকোবের বক্তব্যের ভিত্তিতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বারনামা।

যে সমস্ত এলাকা বা প্রদেশগুলোতে এমসিও এর বিধিনিষেধ কার্যকর থাকবে, পেনাং, সেলেঙ্গর, মালাক্কা, জোহর, সাবাহ, কুয়ালালামপুর, পুত্রজায়া এবং লাবুয়ান। শর্তসাপেক্ষে এমসিওর আওতাভুক্ত রাজ্যগুলি হ’ল: পাহাং, পেরাক, নেগেরি সেম্বিলান, কেদাহ, তেরেংগানু এবং কেলানটান। এছাড়াও সারওয়াকের কুচিং, সিবু এবং মিরিও শর্তাধীন এমসিওর অধীনে থাকবে।

যে সমস্ত এলাকায় এমসিও ল;কডাউন ঘোষণা করা হয়েছে সে সমস্ত এলাকায় নিম্নে বর্নিত বিধিনিষেধ গুলো মেনে চলতে হবেঃ- শর্তসাপেক্ষে এমসিওর আওতাধীন অঞ্চলে, একাধিক সামাজিক ক্রিয়াকলাপ যেমন সভা, প্রদর্শনী, পুনর্মিলনী, সেমিনার এবং বিবাহ অনুষ্ঠান নি;ষিদ্ধ।

খেলাধুলা এবং বিনোদনমূলক ক্রিয়াকলাপ সম্পূর্ণ ভাবে নি;ষিদ্ধ। এক প্রদেশ থেকে অন্য প্রদেশে ভ্রমন নি;ষিদ্ধ থাকবে। এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে শিশু যত্ন ও পরিচর্যা কেন্দ্র এবং বেসরকারী কিন্ডার গার্টেনগুলি তে কর্মরত পিতা-মাতার যত্ন নেওয়ার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। সরকারী-চালিত কিন্ডারগার্টেনগুলি বন্ধ থাকবে। সিনিয়র মন্ত্রী ইসমাইল সাবরির মতে, এমসিওর অধীনে স্থানগুলিতে নিম্নলিখিত ক্রিয়াকলাপ অনুমোদিত নয়:

রাত্রিকালীন বাজার, বস্ত্রের দোকান, স্ব-সেবা লন্ড্রি, চোখের ডাক্তার, নাপিত এবং হেয়ার স্যালুন, স্পা এবং রিফ্লেক্সোলজি কেন্দ্র, কোচিং ক্লাশ, সংগীত ক্লাস, নৃত্যের ক্লাস, আর্ট ক্লাস, রিভিশন ক্লাস, ভাষার ক্লাস, নৃত্য ক্লাব,থিম পার্ক, ইনডোর খেলার মাঠ, কারাওকে কেন্দ্র এবং সিনেমাগুলি,কনসার্ট এবং লাইভ ইভেন্ট, সামনাসামনি বৈঠক, সভা,

প্রণোদনা, সম্মেলন এবং প্রদর্শনী শিল্প সম্পর্কিত সেমিনার, ওয়ার্কশপ, কোর্স, প্রশিক্ষণ, সম্মেলন, আলোচনা, প্রদর্শনী এবং অন্যান্য ক্রিয়াকলাপ,সামাজিক অনুষ্ঠান যেমন উৎসব, বিবাহ ও বাগদান অনুষ্ঠান, সংবর্ধনা, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, বার্ষিকী, জন্মদিন, পুনর্মিলনী, পশ্চাদপসরণ ইত্যাদি ক্রীড়া এবং বিনোদনমূলক ক্রিয়াকলাপ, জগিং দু’জনের বেশি একত্রে হাটা বা জগিং করা যাবে না।

সাধারণভাবে, আপনাকে অবশ্যই বাড়িতে থাকতে হবে, তবে আপনি খাদ্য, ওষুধ, ডায়েটরি পরিপূরক এবং মৌলিক প্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয়ের মতো নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে বাইরে যেতে পারেন।এসময় আপনার নিজ এলাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০ কিলোমিটার এর বেশি যাতায়াত করতে পারবেন না।

একটি গাড়ীতে ২ জনের বেশি যাত্রী উঠতে পারবেন না। যদিও মার্চের প্রথম এমসিও এর মত গনহারে শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবার বন্ধ থাকবে না। অর্থনীতি সচল রাকার স্বার্থে কি সেক্টর খোলা থাকবে।ইমিগ্রেশনে ভিসা নবায়ন ও অন্যন্যা কার্যাদি বন্ধ থাকবে। তবে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস বন্ধ থাকবে কি না সে বিষয়ে এখনো কোন নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। এখন পর্যন্ত যে ধরনের নির্দেশনা সরকার থেকে পাওয়া গেছে তা উপরে উল্লেখ্য করা হয়েছে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *