সাতদিন ধরে শৈত্যপ্রবাহ, দুই শতাধিক মানুষ হাসপাতালে ভর্তি !!

পদ্মা-যমুনা নদীবেষ্টিত পাবনা জেলা। এমনিতেই শীতের প্রকোপ বেশি থাকে। তার ওপর গত সাতদিন ধরে প্রচণ্ড শীত এবং হিমেল হাওয়া বইছে। প্রচণ্ড ঠান্ডা এবং হিমেল হাওয়ায় জনজীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে।

মধ্যরাত রাত থেকে প্রকৃতি ঢাকা থাকছে ঘন কুয়াশায়। এক সপ্তাহ ধরে সূর্যের দেখা মেলেনি। প্রতিদিন দুপুর ১২টা পর্যন্ত মহাসড়কগুলোতে হেড লাইট জালিয়ে যানবাহন চলছে। শীতের সঙ্গে হিমেল হাওয়া জনজীবনকে আরও বিপর্যস্ত করে তুলেছে। শীতে শ্রমজীবী ও নিম্নআয়ের মানুষ পড়েছে চরম বিপাকে।

এ অবস্থায় পাবনার সুজানগর উপজেলায় মঙ্গলবার (০৭ জানুয়ারি) আগুন পোহাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মাসুদ রানা (৮) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গত সাতদিন থেকে বইছে শৈত্যপ্রবাহ। অধিকাংশ সময় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। হিমেল হাওয়ায় শীত জেঁকে বসেছে পুরোদমে। শীতে অসুস্থ হয়ে নারী-শিশুসহ দুই শতাধিক মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানায়, এক সপ্তাহ ধরে তাপমাত্রা ৮ থেকে ৯ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। সূর্যের দেখা মেলেনি। পুরোদমে শীত জেঁকে বসেছে।

পাবনার জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ বলেন, প্রতিদিনই আমার দপ্তরে শীতবস্ত্রের জন্য জনপ্রতিনিধিরা আবেদন করছেন। ইতোমধ্যে বিভিন্ন উপজেলায় প্রায় ৫০ হাজার কম্বল পাঠানো হয়েছে। কিন্তু বরাদ্দকৃত কম্বল অপ্রতুল। গত এক সপ্তাহ ধরে রাতে সদর উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থানে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।

যমুনা নদীবেষ্টিত বেড়া উপজেলার পুরানভারেঙা ইউপি চেয়ারম্যান এএম রফিক উল্লাহ বলেন, যমুনার চরাঞ্চলে শীতে কাবু হয়ে পড়েছেন চরের বাসিন্দারা। চরে শীতবস্ত্রের চরম সংকট।

এদিকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় শীতজনিত কারণে নারী পুরুষ ও শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে। মঙ্গলবার রাত ৭টা পর্যন্ত পাবনা জেনারেল হাসপাতালে দুই শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশু ভর্তি হয়েছেন।

পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক রঞ্জন কুমার দত্ত বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে দুই শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশু ভর্তি হয়েছেন।

হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, বেড না পেয়ে অনেক আক্রান্ত নারী-পুরুষ, শিশু মেঝেতে শুয়েই চিকিৎসা গ্রহণ করছেন। চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *