হালাল উপার্জনের লোভ দেখিয়ে ১০ কোটি টাকা আত্মসাত করল স্কুলশিক্ষিকা!

হালাল উপার্জনের প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ১০ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ মুছে ফেলা। পুলিশ সীমা আক্তার (৪০) নামে একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে। এ সময় প্রতারণার শিকার ওই মহিলার বাড়ির সামনে বিক্ষোভ শুরু করে।

প্রতারক সীমা আক্তার পাবনা পৌর এলাকার পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং আতুয়া হাউসপাড়া মহল্লার মৃত হানিফুল ইসলামের স্ত্রী।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে সীমা আক্তারকে পুলিশ গ্রেফতার করে এবং বুধবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলা কারাগারে পাঠায়।

ভুক্তভোগীরা বলেন, সীমা আক্তার ইসলামী শরিয়া অনুযায়ী গরুর খামার ব্যবসাসহ বিভিন্ন হালাল উপার্জনের কথা বলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তিনি শুধু সাধারণ মানুষকে নয়, তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও পুলিশ সদস্যকেও বোকা বানিয়েছেন। মানুষ তার কথায় বিশ্বাস করে এবং লাভের আশায় তার ব্যবসায় অর্থ বিনিয়োগ করে। লাভের মার্জিন বেশি হওয়ার পর লোভে অনেকে টাকা বিনিয়োগ করে। প্রথম পর্যায়ে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার জন্য, তিনি সময়মতো মুনাফা বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে ভাল মানুষের রূপ নিতেন। কিন্তু পরে যখন টাকার পরিমান বেড়ে গেল, তখন সে সব টাকা আত্মসাৎ করে গা ঢাকা দেন।

তারা আরও বলেন, মাসিক লভ্যাংশ সংগ্রহ করতে আসা অনেকেই সীমা আক্তারকে পাবে না বলে চিন্তিত ছিল। লাভের আশায় তারা এখন সম্পদ বিক্রি করে এবং অর্থ বিনিয়োগ করে নিঃস্ব হয়ে গেছে। শিক্ষক চেক এবং স্ট্যাম্পের মাধ্যমে অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। সীমান্তের প্রতারণা বুঝতে পেরে ভুক্তভোগীরা পাবনা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এদিকে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর পাবনা পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রতারক সীমা আক্তারকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে।

এ বিষয়ে সীমা আক্তারের সঙ্গে কথা বললে তিনি কোনো বৈধ ব্যবসায়িক কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। তবে তিনি মানুষের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। “আমার কোন বৈধ ব্যবসা নেই,” সীমা আক্তার আরটিভি নিউজকে বলেন। আমি একজনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে অন্যকে দিলাম। ‘

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *