১২০ জন যাত্রীকে বাঁচানো সেই ক্যাপ্টেন নওশাদ না ফেরার দেশে চলেই গেলেন!
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইয়ুম সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
ভারতের নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালের চিকিৎসকরা সোমবার (৩০ আগস্ট) স্থানীয় সময় সকাল ১০ টা ৪৫ মিনিটে তার লাইফ সাপোর্ট খুলে দেন।
বাংলাদেশ পাইলটস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন মাহবুব সোমবার দুপুর ২.১৫ মিনিটে গণমাধ্যমকে বলেন, “ক্যাপ্টেন নওশাদের বায়ুচলাচল বাংলাদেশ সময় সকাল ১১ টায় খোলা হয় এবং তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।” তার লাশ ফেরত আনার প্রক্রিয়া চলছে। ‘
শুক্রবার সকালে ক্যাপ্টেন নওশাদ ওমানের মাস্কাট থেকে ১০০ জনেরও বেশি যাত্রী নিয়ে বিজি -০২২ ফ্লাইটে ঢাকার পথে অসুস্থ হয়ে পড়েন। মহারাষ্ট্রের নাগপুরের ফ্লাইটের পর। বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করা হয়েছিল। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য নাগপুরের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শনিবার রাতে নওশাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছিল। মস্তিষ্কে প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে তিনি কোমায় চলে যান।
রবিবার বিকেলে নওশাদের মৃত্যুর খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। পরে জানা গেল, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নওশাদের মৃত্যুর ঘোষণা দেয়নি।
যদিও ক্যাপ্টেন নওশাদ ‘ক্লিনিক্যালি ডেড’ ছিলেন, তার আত্মীয়রা লাইফ সাপোর্ট খুলতে রাজি ছিলেন না। তারা দাবি করেছিল যে আরও পরীক্ষার পরে লাইফ সাপোর্ট খোলা হবে। সোমবার তার লাইফ সাপোর্ট খোলার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নওশাদকে মৃত ঘোষণা করে।