৮ বছরের শিশু শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়ন করাসহ কামড় দেয় মাদ্রাসা শিক্ষক!
আট বছর বয়সী শিশুকে কামড়ানো, মারধর করা, পুকুরের পানিতে ডুবানো এবং মল চাটা সহ যৌন হয়রানির অভিযোগে গ্রেফতারকৃত মাদ্রাসা শিক্ষককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমলেশ চন্দ্র হালদার শনিবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, শিশুটির বাবা মো। কাইয়ুম হোসেন হাওলাদার নির্যাতনের অভিযোগ এনে থানায় মামলা করেছেন। মামলার একমাত্র আসামি হলেন পূর্ব ধর্মাদী জামেউল উলুম মাদ্রাসার হাফেজ শিক্ষক এবং বরিশাল সদর উপজেলার জাগুয়া ইউনিয়নের খাইরদিয়া এলাকার আব্দুস সালাম খানের ছেলে জোবায়ের আহমেদ (২০) কে গ্রেফতার করে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিকে শিশু আবু তালহা বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি শারীরিকভাবে আহত হওয়ার পাশাপাশি মানসিকভাবেও অস্থির ছিলেন।
পেডিয়াট্রিক সার্জারি বিভাগের ডা। এ কে এম মিজানুর রহমান জানান, শিশুটির দুই পাশে এবং হাতের পেছনে কামড়ের চিহ্ন বিক্রি হওয়া লিঙ্গের পরিচয়। এছাড়াও শিশুর শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন, চোখে রক্ত জমাট বাঁধা। বর্তমানে শিশুটি কিছু মানসিক সমস্যায়ও ভুগছে। তিনি বলেছিলেন যে ক্ষত সময়ের সাথে সেরে গেলেও মানসিক সমস্যাগুলো সারতে সময় লাগবে।
শিশুটির বাবা নগরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের রাজমিস্ত্রি ও দেফুলিয়া এলাকার বাসিন্দা কাইয়ুম হোসেন হাওলাদার জানান, গত রমজানে ঈদুল ফিতরের পর তিনি তার বাড়ির পাশের প্রাক্তন ধর্মীয় স্থান জামেউল উলুম নামের মাদ্রাসায় ভর্তি হন। কুরআন শরীফ শেখানো। যেখানে হাফেজ শিক্ষক জোবায়ের আহমেদকে গ্রেফতার করে। এবং তার তত্ত্বাবধানে সেই শিশু কোরানে হেফজ পড়ে।
তিনি আরও বলেন, যখন মাদ্রাসার অন্যান্য ছাত্ররা ২৫ আগস্ট রাত ১১ টার দিকে ঘুমিয়ে পড়ে, তখন আবু তালহাকে শিক্ষক জোবায়ের ঘুম থেকে জাগিয়ে দেয় এবং তাকে যৌন উদ্দেশ্যে যৌন হয়রানি শুরু করে। কিন্তু যদি শিশুটি এতে রাজি না হয়, শিক্ষক তাকে জোর করে নিতম্বের দুই পাশে এবং বাম হাতের পেছনে কামড় দেন, যার ফলে রক্তাক্ত জখম হয়। এ সময় শিশুটি চিৎকার করলে তালহা তাকে গলা চেপে ধরে হত্যার হুমকি দেয়।