বউ এবং শাশুড়ির দ্বন্দ্ব! তার ৩০ মিনিট পর দুইজনই রহস্যজনক ভাবে মারা যায়
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে শাশুড়ির আত্মহত্যার ৩০ মিনিট পর পুত্রবধূ রহস্যজনক ভাবে মারা যান। শুক্রবার বেলা ২ টার দিকে পান্তি ইউনিয়নের রামদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন মৃত বসির উদ্দিনের স্ত্রী রোকেয়া খাতুন (৬০) এবং পুত্রবধূ বসির উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রহমানের স্ত্রী হীরা খাতুন ওরফে জোসনা (২৪)। পুলিশ বাড়ি থেকে পুত্রবধূ জোসনারের লেখা একটি নোট উদ্ধার করেছে।
ধারণা করা হয়, নোটটি আবদুর রহমানের স্ত্রী হিরা খাতুন ওরফে জোসনা খাতুনের। নোটে লেখা ছিল, “আমি তোমাকে ছেড়ে দিয়েছি, তুমি তোমার মায়ের সাথে থাকো।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শাশুড়ি রোকেয়া ও পুত্রবধূ হীরার মধ্যে পারিবারিক কলহ ছিল। দুজনেই গত তিন দিন ধরে খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। একপর্যায়ে হীরা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে গ্রামের ডাক্তারের কাছে ডেকে স্যালাইন দিয়ে রাখা হয়। শুক্রবার রাতে ছেলে আব্দুর রহমান তার মা ও স্ত্রীকে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য অনুরোধ করেন। পরে দুপুর ২ টার দিকে আব্দুর রহমান তার মাকে বাড়িতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে তিনি তার মাকে পরিত্যক্ত বাড়ির দেয়ালে ঝুলতে দেখে এবং প্রতিবেশীদের ডেকে লাশটি খুলে ফেলেন। অন্যদিকে, আবদুর রহমানের স্ত্রী লাশ খোলার ৩০ মিনিট পরে মারা যান।
তবে হীরা খাতুনের মা রাশিদা খাতুন অভিযোগ করেন, তার মেয়ের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মেয়েটির মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
কুমারখালী পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাকিব হাসান জানান, শনিবার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে।
তিনি আরও জানান, পরিবারের দাবির আগে শাশুড়ি আত্মহত্যা করেছিলেন। আধঘণ্টা পর কনে জোসনার লাশ পাওয়া গেল। কিন্তু নোট অনুযায়ী, নববধূ তার শাশুড়ির আগেই মারা যান। পুলিশ সার্বিক বিষয়গুলি খতিয়ে দেখছে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ এ ব্যাপারে অভিযোগ করেনি।