দেশের খবর

১২ টাকার বেগুন ৫০, ১৫ টাকার ফুলকপি ৬০ !!

বগুড়ার সবচেয়ে বড় সবজি বাজার মহাস্থানহাটে শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে দেশি কাটা পেঁয়াজের মণ ছিল ২৭০০ থেকে ২৮০০ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কেজির দাম পড়ে ৭০-৮০ টাকা।

একই পেঁয়াজ পাতাসহ মণ ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি কেজি ৩৫-৩৮ টাকা। খুচরা বাজারে এসব পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কোথাও ১০ টাকা আবার কোথাও কেজিতে ১৫ টাকা বেশি দরে। অর্থাৎ ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে। একই সঙ্গে আমদানি করা চায়না পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৭০ টাকা দরে।

সবজির পাইকারি বাজার মহাস্থানহাটে এখন প্রতি কেজি ফুলকপি বিক্রি করে কৃষকরা পাচ্ছেন ২৫ টাকা (প্রতি মণ ১০০০ টাকা)। অথচ সেখান থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে বগুড়া শহরের ফতেহ আলী বাজারে সাধারণ ক্রেতাদের প্রতি কেজি ফুলকপি কিনতে হচ্ছে ৫০ টাকা কেজিতে। শহরের বকশীবাজার ও কলোনি বাজারে ৬০ টাকা কেজিতে কিনতে হচ্ছে।

 

একইভাবে মহাস্থানহাটে কৃষকরা যেখানে এক কেজি বেগুন বিক্রি করে ১২ টাকা ৫০ পয়সা (প্রতি মণ ৫০০ টাকা) দরে, অথচ সেই বেগুন জেলা শহরের বড় তিনটি কাঁচাবাজারে এক লাফে উঠে যায় ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। সরেজমিনে স্থানীয় কৃষক ও পাইকারি মোকাম থেকে খুচরা বাজারে শীতকালীন অন্যান্য সবজির দামেও বড় পার্থক্যের চিত্র মিলেছে।

সদরের শাঁখারিয়া গ্রামের মুলা চাষি মনির হোসেন বলেন, প্রথম দিকে মুলার ভালো দাম পাওয়া গেছে। এখন মুলা প্রতি মণ ২০০ থেকে ৩০০ টাকা করে বিক্রি করতে হচ্ছে। অর্থাৎ প্রতি কেজি মাত্র পাঁচ টাকা। যদিও খুচরা বাজারে মুলা ২০ থেকে ২৫ টাকার নিচে পাওয়া যায় না।

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার চন্ডিহারা গ্রামের কৃষক খয়বর আলী বলেন, মহাস্থানহাটে ২৫০ টাকা মণ দরে মুলা বিক্রি করেছি। আমার এই মুলা কিনে বগুড়ায় নিয়ে ব্যাপারীরা তিনগুণ দামে বিক্রি করছেন।

 

শেখেরকোলা ইউনিয়নের কৃষক লুৎফর রহমান বলেন, মহাস্থানহাটে বড় সাইজের বাঁধাকপির এনেছি ৩০০ পিস। পাইকাররা প্রতি পিস ১৮ টাকা দরে কিনে নেয়। অথচ ১৫ দিন আগেও একই সাইজের প্রতিটি কপি ২৫-২৬ টাকায় বিক্রি করেছি। অথচ বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি কপি ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হয়। ব্যবসায়ীদের দাবি কেনা বাড়তি তাই বিক্রিও বাড়তি।

মোকামতলার আবুল মিয়া সোয়া মণ করলা এনে প্রতি মণ এক হাজার টাকা দরে এবং একই গ্রামের নুর আলম বরবটি বিক্রি করেছেন ৯০০ টাকা মন দরে। নাজিরপুর গ্রামের কৃষক আবু তাহের পাঁচ মণ চিচিঙ্গা এনে প্রতি মণ ৮৫০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন।

 

হাটে এখন আগাম জাতের নতুন আলু উঠতে শুরু করেছে। কৃষক আব্দুল মান্নান দুই মণ আলু এনেছিলেন বাজারে। পাইকাড়দের কাছে বিক্রি করেছেন গড়ে ১২৮০ টাকা মণ দরে। একইভাবে হাটে পেঁয়াজ পাতা বিক্রি হয়েছেন ১১০০ টাকা মণ, দেশি পেঁয়াজ ১৬০০-১৭০০ টাকা মণ, টমেটো ২২০০-২৪০০ টাকা মণ, বেগুন ৫০০ টাকা মণ।

হিসাব মেলানোর জন্য বগুড়ার বড় খুচরা বাজার শহরের ফতেহ আলীতে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি কেজি লম্বা বেগুন ৫০, গোল বেগুন ৪০, কাঁচা মরিচ ৬০, কচুরমুখি ৪০, মিষ্টি কুমড়া ৪০, ওলকপি ৪০, ফুলকপি ৬০, বাঁধাকপি ৪০, করলা ৬০, পটল ৪০, শিম ১২০, ঝিঙে ৪৫, ঢেঁড়স ৫০, বরবটি ৪০, পেঁপে ২০, কাঁকরোল ৪০ এবং দেশি শসা ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। শহরের বকশীবাজার ও কলোনি বাজারে সবজির দাম আরও বেশি।

J A Suhag

Local News: J A Suhag writes Local News articles for industries that want to see their Google search rankings surge. His articles have appeared in a number of sites. His articles focus on enlightening with informative Services sector needs. he holds the degree of Masters in Business and Marketing. Before he started writing, he experimented with various professions: computer programming, assistant marker, Digital marketing, and others. But his favorite job is writing that he is now doing full-time. Address: 44/8 - North Dhanmondi, Dhaka Email: [email protected]

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button