ক্রেতাদের ভিড়, কয়েক ঘন্টায় শেষ ১০০০ কেজি পেঁয়াজ !!

পঞ্চগড়ে টিসিবির পেঁয়াজ কিনতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল থেকে জেলা শহরে ৪৫ টাকা কেজি দরে টিসিবির পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হয়েছে। পঞ্চগড় জেলা শহরের সরকারি অডিটোরিয়াম চত্বরে ভ্রাম্যমাণ ট্রাক্টরে করে কমদামে টিসিবির পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করে সজিব প্রধান নামে স্থানীয় এক ডিলার। সকালে সরকারি অডিটোরিয়াম চত্বরে টিসিবির ভ্রাম্যমাণ পেঁয়াজের ট্রাক্টর পৌছালে মুহূর্তেই হুমড়ি খেয়ে পড়েন হাজারো ক্রেতা। উপচে পড়া ভিড় ও ক্রেতাদের চাপ সামলাতে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সরকারি অডিটোরিয়াম চত্বরে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। লম্বা লাইন জায়গা না থাকায় ইউ আকৃতি নিয়েছে। পেঁয়াজ বিক্রির খবর পেয়ে গৃহিণীরা আলাদা লাইনে দাঁড়িয়ে এককেজি করে পেঁয়াজ ক্রয় করছেন। অনেকেই পেঁয়াজ না পেয়ে শূন্য হাতে বাড়ি ফিরে যায়। আবার যারা লাইনে দাঁড়িয়ে এক কেজি পেঁয়াজ কেনার সুযোগ পেয়েছেন তারা বেশ খুশি।

মোতালেব ইসলাম নামে এক ক্রেতা জানান, লাইনে দাঁড়িয়ে ৪৫ টাকায় এক কেজি পেঁয়াজ কিনলাম। বাজারে এখনো পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ২২০ থেকে ২৩০ টাকা। ভিড় ঠেলে কিনেও শান্তি পাচ্ছি যে এই এক কেজি পেঁয়াজ কয়েকদিন খাওয়া যাবে। আমেনা বেগম নামে এক গৃহিণী বললেন, সংসারের খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছি তাই প্রতিদিন এভাবে যদি ৪৫ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ পাওয়া যায় তাহলে আমরা বাড়তি খরচের হাত থেকে রেহাই পেতাম।

শিশু থেকে বৃদ্ধ লাইনে দাঁড়িয়ে ভিড় ঠেলে পেঁয়াজ কিনছে। ক্রেতাদের সামলাতে ডিলারের লোকজনের বাইরেও পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশ সহযোগিতা করছেন। সেখানে তদারকি করছেন পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম রব্বানী ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদর্শন কুমার রায়। এর আগে, পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন ও পুলিশ সুপার ইউসুফ আলীর উপস্থিতিতেই টিসিবির পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হয়। তুরস্কের বড় বড় পেঁয়াজ ১ কেজি করে পরিমাপ করে আলাদা আলাদা পলিথিনে ভরে রাখা হয়েছে। প্রতি কেজিতে পেঁয়াজ উঠছে ৭ থেকে ৮ টি। জনপ্রতি বরাদ্দ সর্বোচ্চ ১ কেজি। তীব্র রোদে দাঁড়িয়ে সবাই কমদামে এক কেজি পেঁয়াজ কেনার জন্য। প্রথম দিনেই ১ হাজার কেজি পেঁয়াজ কয়েক ঘন্টাতেই শেষ হয়ে যায়।

টিসিবির ডিলার সজিব প্রধান বলেন, আজকেই আমরা টিসিবির পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করি। এক হাজার কেজি পেঁয়াজ এক হাজার ক্রেতার কাছে বিক্রি করা হয়। চাহিদা ব্যাপক থাকায় ভিড় সামলাতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম রব্বানী বলেন, প্রথম দফায় বুধ ও বৃহস্পতিবার টিসিবির পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে। তারপর আবার বরাদ্দ পেলে একইভাবে কমদামে টিসিবির পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *