দেশে করোনায় বছরের সর্বোচ্চ মৃতের সংখ্যা আজ – আ’ক্রান্ত ৩৬৭৪ জন !!
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আ’ক্রান্ত হয়ে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা দেশের জন্য অশনিসংকেত। ক্রমশই করোনা পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় আ’ক্রান্ত হয়েছে আরো ৩ হাজার ৬শ ৭৪ জন। এর আগে গতকাল ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৯ জনের মৃত্যু নিয়ে মোট মৃত্যের সংখ্যা দাড়ালো ৮ হাজার ৮শত ৬৯। এবং মোট আ’ক্রান্তের সংখ্যা ৫ লক্ষ ৯১ হাজার ৫শ ছয় জন।
করোনা কাড়ল আরও ১১ হাজার প্রাণ: মহামারি করোনা দুনিয়াজুড়ে নিত্যনতুন চেহারা নিচ্ছে। সেইসঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন জনপদে আ’ক্রান্ত করছে অসংখ্য মানুষকে। বাড়ছে মৃত্যুও। গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে প্রাণ গেছে আরও ১১ হাজারের বেশি মানুষের।এছাড়া ব্রাজিলে লাগামহীনভাবে বাড়ছে সংক্রমণ। দেশটিতে রেকর্ড ৩ হাজার ৬শ’ প্রাণ গেছে একদিনে। সাড়ে ৮২ হাজারের ওপর নতুন আ’ক্রান্ত শনাক্ত। ৩ লাখ ৭ হাজার ছাড়িয়েছে দেশটির মোট প্রাণহানি।
যুক্তরাষ্ট্রে একদিনে মৃত্যু হয়েছে আরও ১ হাজার ২১৬ জনের। ৫ লাখ ৬১ হাজারের ওপর মোট মৃত্যু। নতুন আ’ক্রান্ত শনাক্ত প্রায় ৭৪ হাজার। শুক্রবার ৬শ’য়ের কাছাকাছি মৃত্যু হয়েছে স্পেন ও মেক্সিকোয়।এছাড়া ইতালি ও পোল্যান্ডে মারা গেছে সাড়ে চারশ’র মতো মানুষ। বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট প্রাণহানি ২৭ লাখ ৭৮ হাজার ৭৭০। মোট সংক্রমিত শনাক্ত হয়েছে ১২ কোটি ৬৬ লাখ ৭৩ হাজার।
দেশেও সংক্রমণ বাড়ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী শুক্রবার পর্যন্ত দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা পাঁচ লাখ ৮৮ হাজার ১৩২ জন।২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের ঘোষণা আসে। দেশে প্রথম করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তির মৃত্যুর ঘোষণা আসে ১৮ মার্চ।
দেশে সংক্রমণ শুরুর দিকে রোগী শনাক্তের হার কম ছিল। গত মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে ছিল। এরপর থেকে নতুন রোগীর পাশাপাশি শনাক্তের হারও কমতে শুরু করেছিল। মাস দুয়েক সংক্রমণ নিম্নমুখী থাকার পর গত নভেম্বরের শুরুর দিক থেকে নতুন রোগী ও শনাক্তের হারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়। ডিসেম্বর থেকে সংক্রমণ আবার কমতে শুরু করে। তবে চার সপ্তাহ ধরে সংক্রমণ আবার ঊর্ধ্বমুখী।